নির্ভয়ে বাঁচতে চাই

মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, মেয়ে হিসাবে আমি জোর গলায় তা বলতে পারি। কী পথঘাটে, যানবাহনে, স্কুলকলেজে, আত্মীয়ের বা নিজ বাড়িতেও তারা অনেকেই নিরাপদ নয়।
নির্ভয়ে বাঁচতে চাই

আমাদের পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র, কোথাও মেয়েরা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। শুধু বড়রা নয়, ছোট শিশুরাও আজকাল পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায় না।

তবে কি মেয়ে হয়ে জন্মানোই পাপ?

আমিও তো একজন মেয়ে; আমিও পাপী?

সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারি, গত বছরে মোট পাঁচশ ৯৩টি শিশু ধর্ষিত হয়েছে। কি অপরাধ ছিলো তাদের? এদের জীবনের এ আতঙ্ক থেকে জীবনের দিকে ফেরানো যাবে? যারা এখনও অত্যাচারিত নয়, তাদের নিরাপত্তা দেবে কে?  

পাশবিক অত্যাচার শব্দটির সাথে পরিচিত হবার আগেই, নিরাপত্তার অভাবে বা পশুরূপী মানুষের বিকৃত মানসিকতার শিকার হয়ে এসব শিশু জীবন হারাচ্ছে বা সারা জীবনের জন্য বেঁচে থাকার প্রতি ঘৃণা নিয়ে নিজের জীবনকে বয়ে নিচ্ছে।    

শিশুদের অবাধ আনন্দের শৈশব বা কৈশোর আজ কল্পনা মাত্র! মা-বাবা বা অভিভাবককে তটস্থ থাকতে হয় নিজ নিজ শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে।  

দেড় বছরের শিশু থেকে প্রৌঢ় নারী, কেউ রক্ষা পায় না; কারও নিরাপত্তা নিশ্চিত নয় আমাদের সমাজে।  

অনেক লিখতাম এ ইস্যুতে। যেখানে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, বলেছি। কিন্তু এখন ক্লান্ত হয়ে গেছি দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে।

প্রতিবাদ, প্রতিকার, বিচার অনেক কিছুই হয় কিন্তু চিত্রপট পাল্টায় না! তবে কী যারা মেয়ে শিশু জন্ম দিতে চান না, তারাই ঠিক কাজটি করছেন?

সব শেষে আমার আবেদন, সমাজে এমন রীতি চালু হোক, মানুষ, বিশেষত মেয়েরা অন্তত শিশুরা যেন নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে। আমরাও নির্ভয়ে, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে চাই।  

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com