কারণ আমাদের সমাজে কলম দিয়েই অন্যায়, অত্যাচার, রাহাজানি, ডাকাতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লিখলে সেগুলি নিয়ে মানুষ সচেতন হবে। প্রতিবাদ করবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে।
যারা শপথ নেয় এ সমাজকে দুর্নীতির খপ্পর থেকে বের করবে, কলঙ্ক থেকে মুক্তি দেবে, তাদেরই আবার চাকরি বা অন্যকোনো কাজে দুর্নীতির খপ্পরে পড়ছে। তখন তার লালিত স্বপ্নটা দুর্নীতির খপ্পরে পড়ে যায়। আর সে উঠে দাঁড়াতে পারে না। কারণ একা একা কেউ সমাজ বদলাতে পারে না।
আমাদের সমাজ আজ অভিশপ্ত হচ্ছে সচেতনতার অভাবে। এই সমাজের দৃষ্টি আজ সেলিব্রেটি হওয়া। শিক্ষিত বা সচেতন হওয়া নয়। সবাই নিজেকে জাহির করতে ব্যস্ত।
আমরা জানি, খালি কলসি বেশি বাজে। আর যে সব মানুষের দেশের জন্য, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য কোনো ভাবনা নাই, তারাই গলাবাজি করেন বেশি। দুর্নীতিবাজরাই আমাদের সমাজে নীতিকথা জাহির করেন।
এদেশের কোন মানুষকে আমরা অনুসরণ করব, এরকম কোনো অনুসরণীয় আদর্শ চরিত্র খুঁজে পাই না। কোথাও আদর্শের রেশ নেই। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষায়তনসহ দেশের সব জায়গায় শুধু অনিয়ম আর দুর্নীতির কথা শুনতে পাই।
সব জায়গায় দুর্নীতি আর অনিয়মের ধ্বজাধারীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর তাদের ভয়ে আমাদের মেরুদণ্ড যাচ্ছে বেঁকে। প্রতিবাদ করার সাহস ফেলছি হারিয়ে। ভয় গ্রাস করছে, দানা বাঁধছে আমাদের শিশুদের মস্তিষ্কেও।
আমরা ছোট। আর তাই সমাজে কথা বলার অধিকার নাই। আজ সাধারণ মানুষ অসহায়। তারাও পাচ্ছে না তাদের অধিকার। পাচ্ছে না ন্যায়বিচার, পাচ্ছে না তাদের সুযোগ সুবিধা। তাদের আবার ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যায় কাজেও। এমনকি শিশুদেরও!
তবু এসো সবাই, আমরা শিশু-কিশোর-তরুণ মিলেমিশে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি,
‘অন্যায়ের কাছে কভু নত নাহি শির
ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর’