খুলনা-ঢাকা সড়কের খারাপ অবস্থার জন্য এই রুটের যাত্রীরা ট্রেনকেই গুরুত্ব দেন।
এপ্রিল মাসে নানা বাড়ি যেতে সুন্দরবন ট্রেনে করে রওনা হয়েছিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে। আমি আর মা ছাড়া সঙ্গে কেউ ছিল না। তাই ঘোরাঘুরির সুযোগ বেশি হয়নি। তবে চিত্রা ট্রেনে করে ফেরার পথে অনেক কিছু দেখেছি। ট্রেনের এপাশ ওপাশ ঘুরেছি। লক্ষ্য করলাম, সব কিছুর মতোই ট্রেনে যাত্রীদের জন্য কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। কিন্তু মানছেন না অনেকেই। ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ থাকে। রাত দশটার দিকে দুইজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখলাম। তাদের নাকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পকেটমারদের কয়েকজনকেও তখন আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের নিয়ে পুলিশ যে বগিতে বসে ছিল সেই বগির দেওয়ালে লেখা রয়েছে “ধূমপান থেকে বিরত থাকুন, ধূমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ।” অথচ এই লেখার নিচে বসেই পুলিশ সদস্যরা ধূমপান করছিলেন।
পুলিশকে ধূমপান করতে দেখে অনেক যাত্রীরাও ধূমপান শুরু করে সেখানে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষী যখন আইন ভঙ্গ করে সেটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। কেননা তারা আমাদের আইন শেখায়। তারা যখন আইন ভাঙে এটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে হতাশ করে।
চিত্রা ট্রেনটি খুলনা পৌঁছার কথা ছিল ভোর পাঁচটায়। কিন্তু আধঘণ্টা আগেই স্টেশনে পৌঁছে যাই আমরা। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে যাওয়ায় ছিল আমার প্রথম ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।