গর্ব হয় আমি সাংবাদিক
মাঝে মাঝে টিভিতে শিশু সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন খবর দেখতাম। তখনও হ্যালোর কথা জানতাম না।
এসব দেখে আমার ইচ্ছা আরও তীব্র হয়ে উঠে। আমার খালাত ভাই একজন সাংবাদিক। তাকে বললাম ইচ্ছার কথা।
তিনি জানালে, সুযোগ আসলে জানাবেন। কিন্তু আমার অস্থিরতা কমে না।
এভাবে দুই বছর কেটে গেল। একদিন কি যেন একটা কাজে বাইরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ভাইয়া বাসায় এলেন। উনি এসে বললেন, “কি রে সাংবাদিক হবি?” শুনেই তো আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
তারপর জেলা প্রতিনিধি ভাইয়ার কাছ থেকে একটা ফর্ম নিয়ে পুরণ করলাম। এরপর ট্রেনিং এর ডেট ঠিক হলে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হলো।
এর দুদিন পরেই ফোন পেলাম। জানানো হলো ট্রেনিং-এর ডেট। আমি তো উত্তেজনায় ঘুমাতে পারছিলাম না।
অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত দিন এলো। ১১ অগাস্ট ২০১৭। সেখানে ছিল আমার মতো আরও ১৯ জন শিশু। তারাও এসেছে সাংবাদিক হওয়ার ট্রেনিং নিতে।
দুই দিনের ট্রেনিং-এ অনেক কিছু শেখার পাশাপাশি খুব মজাও হলো। এরপর আমাদের কিছু কাজ দেওয়া হলো। আমাকে দেওয়া হলো নীলসাগরের ওপর রিপোর্ট করতে। এরপর আমি তো খুব সাংবাদিক সাংবাদিক ভাব নিয়ে নীলসাগর গেলাম। ভিডিও স্টোরি করলাম।
এভাবেই শুরু হয় আমার স্বপ্নের সাংবাদিক জীবন।
প্রথমে বুঝে উঠতে পারছিলাম না কিভাবে কি করব। এখন যখন শুরু করেছি, সব কিছু বুঝতে পারছি। আমার এই স্বপ্ন স্বপ্নই থাকত পাশে যদি হ্যালো না থাকত। সাংবাদিক বলে আমি আজ গর্বিত।