ভাইয়ার নাম আহসান হাবিব। ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক নানান কর্যক্রমের যুক্ত ছিলেন।
নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বাংলাদেশ চাইল্ড পার্লামেন্টে যোগ দেন। তারপর লেখাপড়ার পাশাপাশি তার এই কার্যক্রমগুলো চলতে থাকে।
২০০৮ সালের কথা। আমি তখন ছোটই বলা চলে। দেশে নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। ভাইয়া তখন সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি স্পিকার। শিশুদের অধিকার, সুযোগ সুবিধা নিয়ে তৎকালীন বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রধানের সাথে সেভ দ্য চিলড্রেনের একটা প্রতিনিধি দল দেখা করে। ডেপুটি স্পিকার হওয়ার দরুণ সেই প্রতিনিধি দলে ভাইয়াও ছিলেন।
আর তাদের সেই বৈঠক টিভিতেও দেখানো হয়েছিল। আমার খুব মনে পড়ে সেদিনের ঘটনা। ভাইয়াকে টিভিতে দেখাবে বলে রিমোট হাতে অনেক আগে থেকেই বসে পড়ি টিভি সেটের সামনে।
তখন থেকে আমার মধ্যে একটা বিষয় কাজ করতো যে, আমিও ভাইয়ার মতো হবো। বিতর্ক করব, বক্তৃতা দিব, শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করব।
ভাইয়ার আরেকটা পরিচয় তো দেওয়াই হয়নি। তিনি লেখক ও সাংবাদিকও। আমার লেখালেখি আর শিশু সাংবাদিকতার ইচ্ছাটাও তাকে দেখেই। প্রথমে ভাইয়ার সাইটেই লেখা দিতাম। তারপরেই হ্যালোতে আসা। আমি হ্যালোতে আসার পর ভাইয়ার কাছে থেকে হ্যালো সম্পর্কে, ইউনিসেফ সম্পর্কে, বিডিনিউজ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি।
যখন নিজের সাংবাদিকতা, লেখালেখি নিয়ে কথা বলতেন তখন আমি মনোযোগ দিয়ে শুনতাম। আর স্বপ্ন দেখতাম যে আমিও এমন হবো। দেশের জন্য, শিশুদের জন্য কাজ করব।
ভাইয়া যেমন আদর করেন তেমন শাসনও করেন। তবে তার শাসনগুলোও ভালো লাগে। শাসনটাও একটা ভিন্নমাত্রা যোগ করে। তবে কাজের ব্যস্ততা আর পড়াশোনার জন্য ভাইয়া ঢাকায় থাকেন বলে তার সাথে দুই ঈদ ছাড়া খুব একটা দেখা হয় না। তবে ঈদ এলেই অনেক মজা হয়। রমজানে একসাথে ইফতার, একসাথে ঈদের নামাজ পড়ে নানু বাড়ি যাওয়া ব্যাপারগুলো ভাবলেই অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে।
এই লেখাটার মাধ্যমে ভাইয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাব। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও ভাইয়া। আর যেভাবে শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছ সেই ভাবেই কাজ করো। তোমার লক্ষ্যে একদিন তুমি পৌঁছাবেই। ভাইয়া তোমার জন্য অনেক আর অনেক অনেক শুভ কামনা।