বইয়ে হোক শিশুর বিকাশ

একটা সময় ছিল যখন শিশুরা অবসরে বই পড়তে পছন্দ করত। বর্তমানে এই দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়ে না।
বইয়ে হোক শিশুর বিকাশ

এর একটা কারণ হলো শিশুদের ব্যস্ততা। একটি শিশু স্কুলের বই আর নোট বই পড়েই হাফ ছাড়ার সময় পায় না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুল আর কোচিংয়ে দৌড়াতে দৌড়াতেই ব্যস্ত থাকছে তারা। এরপর একটি শিশুর পক্ষে বাইরের বই পড়া আর সম্ভব হয়ে উঠে না।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গঁৎবাধা বইয়ে আটকে গেছে। একটার পর একটা পরীক্ষা শুধু চলতেই থাকে। এ যেন পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। অভিভাবকরাও খুব অসহায় হয়েই সন্তানদের চাপ দিচ্ছেন বলে মনে হয়।  তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে তো তারা পড়ালেখার বিকল্প খুঁজে পান না।

পড়ার ফাঁকে যদি একটু অবসর মেলে সেটাও খরচ হয় মোবাইল বা ট্যাবের পেছনে। এর যতটুকু ভালো দিক রয়েছে তার চেয়েও বেশি রয়েছে ক্ষতিকর দিক। এর জন্য অবশ্যই শিশুরা দায়ী নয়।

এসব বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তাদের মন্তব্য, "সময়ই তো পাই না। সারাদিন স্কুল, কোচিংয়ে থাকি। অবসর কোথায় আর কখনইবা বই পড়বো?"

ভাবলেই কষ্ট হয় এই শিশুরা নতুন বইয়ের মাতাল করা ঘ্রাণ থেকে বঞ্চিত। কাগজে বই পড়ার অন্যরকম মজা। এই রীতি চালু রাখা উচিত। শিশুদের চাপ দিয়ে সুষম বিকাশ সম্ভব হয় না। বরং তাদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বাইরের ভালো বই পড়তে দিন।

আমি চাই প্রিয়জনকে বই উপহার দেওয়ার রীতিগুলো ফিরে আসুক। বই পড়তে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা হোক। বইকে বন্ধু করতে পারলে আমাদের পরিবর্তন হবে, আমাদের দেশের পরিবর্তন হবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com