বন্ধু চল, হাতটা দে

পারস্পরিক সমঝোতা, শ্রদ্ধাবোধ এবং অগাধ বিশ্বাসের সেতুবন্ধনই হলো বন্ধুত্ব।
বন্ধু চল, হাতটা দে

যা বয়স, ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের উপরে। বন্ধু যেন কত জনম জনমের আত্মার-আত্মীয়।

বন্ধুত্বকে কোনো সংজ্ঞা দিয়ে বাঁধা যায় না। একসময় ছেলে-মেয়েতে বন্ধুত্ব হলে তা কেবল প্রেম ভালোবাসা সম্পর্ক হিসেবে বোঝান হতো। তবে বর্তমান যুগে এসব ধ্যান-ধারনা থেকে মানুষ বেরিয়ে এসেছে। এখন লিঙ্গ  ভেদে বন্ধুত্ব হয় না।

ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে হাজারো গল্প আর দুষ্টুমির সঙ্গী তো বন্ধুই। স্কুলের প্রতিটি বেঞ্চই যেন সেই বন্ধুত্বের সাক্ষী থাকে।

বন্ধু মানেই আবেগ, খুনসুটি, রাগ আর অভিমানে ভরপুর। এই একটি সম্পর্ক যেন বিধাতা নিজেই পোক্ত করে দেন। যতই সরে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় ঠিক ততই সেই ভালোবাসা যেন ততবাড়ে।

বন্ধুত্বের গভীরতা কোনো মাপ কাঠি দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।

আজকাল মানুষগুলো বড্ড আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। ফলে বন্ধুত্বের স্বাদ তারা উপভোগ করতে পারে না।

বন্ধুর জন্য চিরকুট লিখতে চকলেট বিনিময় করতে, নিজ হাতে তৈরি করা কার্ড বা নিজ বাগানের ফুল উপহার দিতে এখন খুব কমই দেখা যায়।

একটা গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে যেমন সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি একটা বন্ধুত্বকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন অগাধ ভালোবাসা আর যত্ন। সুন্দর এই সম্পর্ককে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। ব্যস্ততা যতই আসুক জীবনে দুই-তিন যুগ পরে হলেও প্রিয় বন্ধুর একটা ছোট চিরকুট ঠোঁটের কোণায় হাসি ফোটাবে।

আমাদের থেমে থাকা সম্পর্কগুলো হোক না বন্ধুত্বের মধ্যে দিয়ে শুরু। জীবনের প্রতিটি সম্পর্ক বন্ধুত্বে আবদ্ধ হোক।

বাবা, মা, ভাই, বোন সবাই এই সুন্দর সম্পর্কে একই সুতায় মালা হয়ে থাকুক।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com