অসহ্য বলতে আমি পরীক্ষার কথা বলছি। সে সময়টুকু বাদ দিলে আনন্দে থাকি প্রতিদিনই। ক্লাসে স্যার না আসলে আনন্দ, পরীক্ষায় পাস করার আনন্দ, ব্যাকবেঞ্চে বসে গান গাওয়ার আনন্দ।
আমি এ বছর ক্লাস টেন। স্কুলজীবন প্রায় শেষের পথে। এখন হিসাব মেলাতে একটু কষ্ট হচ্ছে যে ১২ টা বছর কীভাবে শেষ হয়ে গেল। আমার জীবনের সব চেয়ে ভালবাসার জায়গা হল আমার স্কুল। অনেকটা আবেগ মিশিয়ে ভালবাসি আমার স্কুলকে।
দিন যত যাচ্ছে আমার আবেগ পাঁচ জি স্পিডে বাড়ছে। হয়তো বিষয়টা এমন যে মিষ্টির প্যাকেটের শেষের মিষ্টিটি খেতে বেশি ভাল লাগে।
যে স্যারের ক্লাসে ঘুম ধরত আজ সেই ক্লাসটাও ভালো লাগে। কেননা কিছু দিন পর চাইলেও স্যারের ক্লাসটা করতে পারব না। যে ক্লাসে ওয়াসরুমে যাওয়ার কথা বলে পুরো ক্লাসটাই মিস দিতাম, আজ সেই ক্লাসে হা করে স্যারের কথা শুনি। ফিরে আর পাবো না এসব তাই এই একটা বছর সব আনন্দ গিলে নিচ্ছি।শ
হয়তো পঞ্চাশ বছর পর নাতি নাতনিদের কোলে নিয়ে এসব গল্প শোনাবো। হয়তো জানালার এক কোণায় বসে গাইব, 'পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ...।'
আমার স্কুল জীবনের প্রতিটা দিন আমার জন্য স্মরণীয়। অনেক কিছু পেয়েছি আমি স্কুল জীবনে। কিছু ভাল বন্ধু, কিছু বাবাতুল্য স্যার, কিছু মা সমতুল্য ম্যাডাম। শিখেছিও অনেক কিছু। শেখার আছে আরও।
আমাদের স্কুল নিয়ে আমি অনেক গর্বিত। হ্যা আমি আসলেও গর্বিত। আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা সবসময় স্কুলের সুনাম এনে দিয়েছে। নাচ, গান, আবৃত্তি, আর্ট, বিতর্ক, খেলাতে আমাদের স্কুল সুনাম অর্জন করেছে। শুধু বইমুখী শিক্ষা আমাদের দেওয়া হয় না।
খেলাধুলা, বিতর্ক প্রভৃতি বিষয়ে আমাদের আগ্রহী করা হয়। আর সবসময় বোর্ড রেজাল্টে শীর্ষস্থানে থাকে আমাদের স্কুল, শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।