সোমবার জাতীয় সংসদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত বলেন, “এমসিকিউ প্রশ্ন পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্নফাঁসের সুযোগ থাকবে না।” শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার ভার আমাদের কাঁধে কেনো? আমাদের ভুগতে হবে কেনো?
শিশু বলে কী আমরা এতোটাই অবহেলার যোগ্য? আমরা শীক্ষার্থীরা কী রোবট? যখন ইচ্ছা তখন আমাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রাম সেট করে দেওয়া হবে আর আমরা মুখ বুঁজে সয়ে যাব?
দেশে যেখানে গাছের কথা, প্রাণী সংরক্ষণের কথা ভাবা হচ্ছে, আমরা কী তার চেয়েও গুরুত্বহীন? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখন খুশি যে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে আর আমরা অসহায়ের মতো সেতাই মাথা পেতে নিচ্ছেই। কারণ আমরা ছোট। আমরা কিছু বললে সেতা অভদ্রতা হয়ে যায়।
কিন্তু একেক সময়ে একেক সিদ্ধান্ত আমাদের পড়াশোনার পূর্ব-প্রস্তুতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যারা সিন্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন, তারা একবার চিন্তাও করছেন না, বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দিলে পরীক্ষার সময় আমাদের ওপর কতটা চাপ বেড়ে যাবে? তারা আমাদের এই অবস্থা বুঝবেনই বা কেমন করে। তারা তো আর পরীক্ষার্থী নন।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যদি বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দেওয়া হয় তাহলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়া শিক্ষার্থীদের অবস্থা কেমন হবে? এর আগে ৪০ টা থেকে ৩০ বহু নির্বাচনী প্রশ্ন করা হলো এবং সৃজনশীল প্রশ্ন সাতটা করা হলো, আমাদের প্রতিবাদ কানেও তুললেন না কেউ। এবারও কী আমরা কিছু বলবো না?
একাকী কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। তাই এসো আমরা সবাই বহু নির্বাচনী প্রশ্ন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করি। কারণ ছোট হলেও আমাদেরও দাবি আছে। আমাদের দাবি মানতে হবে।