ফাঁস প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছ; ক্ষতিটা কার?

এক খারাপ চক্র শিক্ষার মেরুদণ্ডকে ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছে। খবরের কাগজে দেখছি পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
ফাঁস প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছ; ক্ষতিটা কার?

যারা ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছি তারা একবারও বুঝতে পারছি না, আমরা ধ্বংস হচ্ছি।

আমাদের মধ্যে অনেকেই পাবলিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র খুঁজতে থাকে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করে।

আমার মনে হয় তাদের বিবেক বুদ্ধি দিন দিন লোপ পাচ্ছে।

আমি গত বছর যখন জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম তখন পরীক্ষার হলে ঢোকার পর অনেকের মুখেই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা শুনেছি। আবার পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর শুনতে পাই, সেই প্রশ্ন থেকেই সব কমন পড়েছে। এতে তারা পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে। কিন্তু মেরুদণ্ড যে ভেঙে গেল সে খেয়াল তো নেই!

শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে কে?

প্রশ্ন ফাঁস একটা অনৈতিক কাজ। এইবারও এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

এসব প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে জিপিএ পাঁচ প্রাপ্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। যাদের জিপিএ পাঁচ পাওয়ার কথাই না তারাও পাচ্ছে। ফলে সঠিক মেধা বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আমাদের দেশ পিছিয়ে থাকবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে পড়াশোনারও কোনো দাম থাকছে না। প্রথম সারির ছাত্র বা শেষ সারির ছাত্র সবার ফলাফল তো একই হচ্ছে। এখন জিপিএ পাঁচ মেধা যাচাইয়ের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্ঞানের পেছনে না ছুটে, শুধু জিপিএ পাঁচ চাইছে।

পাবলিক পরীক্ষার আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন না খুঁজে সারা বছর যদি একটু করে পড়ালেখায় মন দেই তাহলেই তো হয়! ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ পাঁচ পেতে হবে কেন? নিজের নৈতিকতা ঠিক রেখে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা আর নয়। অন্তত নিজের সুন্দর আগামীর জন্য ফাঁস প্রশ্ন বর্জন করি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com