ঢাকা থেকে আসা আমাদের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষক বলেছিলেন, হ্যালো এমন একটা সাইট যেখানে আমাদের যা ইচ্ছা তাই লিখে পাঠাতে পারব। তিনি এও বলেছিলেন, আমাদের মন ভালো বা খারাপ থাকলে সেটাও লিখে পাঠাতে পারব।
কথাটা এমন, যেন ব্যাপারটি খুব সহজ আর আনন্দের! সেটা শুনে খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিন্তারও উদ্রেক করেছিল। তাহলে লেখালেখি করা বা সাংবাদিকতা কী এতই সহজ?
প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি এসেই হ্যালোতে বেশ কয়েকটি লেখা পাঠিয়েও যখন ছাপা হচ্ছিল না, যেমন রাগ হয়েছিল তেমনি ভালো কিছু লিখতেও উৎসাহিত হয়েছিলাম। কারণ হ্যালো পড়ে ও দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও তাৎপর্যপূর্ণ না হলে তা হ্যালোতে প্রকাশ করা হয় না।
আর এটা প্রমাণ করে যে, হ্যালোতে যাদের লেখা ছাপা হচ্ছে তারা বেশ ভালো লিখছে। এতে যেমন তাদের সৃজনশীলতা বাড়ছে তেমনি আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে তারা অনেক বড় সাংবাদিক বা লেখক না হোক, চৌকষ মানুষ হবে।
আর এটাও প্রমাণিত হলো যে আমরা আমাদের সব ধরণের অনুভূতির কথাই লিখতে পারব। তবে তা খুব ব্যক্তিগত ভালোমন্দের সাথে সাথে যেন সব শিশুর অধিকার, অধিকার লঙ্ঘন, বর্তমান পরিস্থিতি, সবকিছুই তুলে ধরে। তাই এই সাইটটিকে শিশু অধিকারে সোচ্চার এক মঞ্চ মনে করি আমি।