জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, ২০১৮ উপলক্ষে আমাদের স্কুলের ১২ শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেই।
প্রতিযোগিতার দিন সকালে স্যারদের সাথে শীত উপেক্ষা করে চলে যাই উপজেলার অডিটরিয়ামে। আমি আর অপর্ণা নামের একজন ছিলাম রচনায়। অন্য বন্ধুরা আলাদা আলাদা রুমে চলে যায়।
বাসায় ভালোভাবে সব রচনায় দেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যে শিকা ছিঁড়ল না। আমার ভাগ্যে পড়ল, ‘পদ্মা সেতু’।
শুনেই তো ভাবলাম, প্রস্তুতি ছাড়া প্রতিযোগিতায় টেকা যাবে না। তবু হাল ছেড়ে না দিয়ে, টিভিতে দেখা সংবাদ ও খবরের কাগজে পদ্মা সেতু নিয়ে যা পড়েছি, তা দিয়েই রচনা লিখে জমা দিলাম। চিন্তায় ছিলাম। কমপক্ষে তৃতীয় যেন হতে পারি।
অনুষ্ঠানে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নৃত্য, হামদ, নাত, কেরাত, রচনা প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা শেষ।
আর সব শেষে আসে রচনার ফল। চিন্তা করতে থাকলাম, আমার রচনা কী কোনো পুরস্কার পাবে?
একে একে নৃত্য, হামদ, নাত, কেরাত, ফল ঘোষণা হয়েই চলে। বন্ধুরা যারা প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হচ্ছে, খুশিতে হেসে উঠছে।
সব শেষে এল, রচনা প্রতিযোগিতার ঘোষণা। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। প্রথম হইনি, দ্বিতীয়ও নই। তৃতীয় জনের নাম উচ্চারিত হলো। সে নাম আমার! আনন্দে লাফ দিয়ে ওঠার মতো অবস্থা। বাসায় এসে তারও চেয়ে খুশি হলাম; আব্বু, আম্মুও যখন খুব খুশি হলেন!