তবে শীতের হাল যতই বেহাল হোক, আমাদের প্রাইভেট পড়ার বিরাম নাই। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বিছানা ছাড়তে হলো অ্যালার্মের ঝনঝন শব্দে।
ফেইসবুক খুলে দেখি, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র শৈত্য প্রবাহের মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা দেশের সব রেকর্ড ভেঙে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও জানলাম বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রার রেকর্ড আছে। বাংলাদেশে তাপমাত্রা এত কমে যাওয়ার নজির সেখানে আর নেই।
এই ঠাণ্ডায় শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন, যাদের অধিকাংশই শিশু।
এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটাই ছিল এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন তাপ মাত্রা।
ভয়ের খবর সবগুলোই। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারিতে সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল; এর পরে বাংলাদেশের কোথাও তাপমান ৩ ডিগ্রির নিচে নামেনি।
ভাবছি, কী হবে শীতার্ত মানুষের! এ শীতে শিশুরাই বা বাঁচবে কীভাবে? খুব সাবধানে এই অবস্থার মোকাবেলা করতে হবে। সবাইকে এগিয়ে দিতে হবে সহানুভূতির হাত।
এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে আবার কখন ঘুমিয়ে পড়েছি। মার ডাকে ধড়মড় করে উঠে পড়লাম। সারা দেশের শীত রেকর্ড ভাঙলেও, পড়তে না গেলে আম্মুর মেজাজের তাপমাত্রা চড়চড় করে বাড়তে থাকবে।