সেখানে কবির জন্ম-মৃত্যু, জীবনী, সাল ইত্যাদি পড়তে হয়। এগুলো মনে রাখা আমার কাছে ছিল খুব কষ্টের।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর স্যার একদিন গল্পের মতো করে রবীন্দ্রনাথের জীবনী বলছিলেন। ক্লাসে বসে থাকলেও আমার মন সেদিন জোঁড়াসাকোর ঠাকুর বাড়ি আর কলকাতার অলিগলিতে ঘুরছিল। দৃশ্যপটে কবিকে দেখছিলাম আর এক অন্যরকম ভাবনা কাজ করছিল।
স্যারের সুন্দর উপস্থাপনাই আমাকে সেদিন ভাবিয়ে তুলল। এরপর থেকে কবিদের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যায়। কবি সাহিত্যিকরা এত জ্ঞানী কীভাবে হন? কীভাবে সময় কাটান তারা? তাদের আত্মীয় স্বজনরা কেমন হয়, ইত্যাদি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত। এরপর থেকে তাদের জীবনী পড়তে শুরু করলাম।
কবি সাহিত্যিকদের স্মৃতি বিজড়িত জায়াগায় ঘোরার ইচ্ছেও তৈরি হয়। ক্লাস ছুটির ফাঁকে চেষ্টা করি ঘুরে বেড়ানোর। পারিবারিক ভাবেও গিয়েছি। হ্যালোতে সাংবাদিকতা করার দরুনও অনেক কিছু কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। অনেক বড় বড় সাহিত্যিককে প্রশ্ন করার, তাদের মুখ থেকেই তাদেরকে জানার সৌভাগ্য হয়েছে। এই শীতের ছুটিতে গিয়েছিলাম কবি আহসান হাবিবের বাড়িতে।