উচ্ছ্বসিত দেশ, উচ্ছ্বসিত আমি

বাঙলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন, স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামে যার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান, তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তার ভাষণ আমদের দেশ ও জাতির মর্যাদা বাড়িয়েছে!
উচ্ছ্বসিত দেশ, উচ্ছ্বসিত আমি

১৯৭১ সালের ৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণ বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। সেই মন্ত্রে দীক্ষিত, পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বপ্ন, লড়াই ও আত্মত্যাগের কারণে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ, বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা 'ইউনেস্কো' (UNESCO) প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গত ৩০ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর সে ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে।  

৪৬ বছর পরে হলেও বিশ্বব্যাপী ভাষণটি মূল্যবান ও ঐতিহ্যপূর্ণ সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত ও গৃহীত হলো। 

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় ২৫ নভেম্বর সারা দেশ জুড়ে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও জেলাতেও এক সভার আয়োজন হয়।

আলোচনা সভায় অনেক কিছু জানতে পারি। সেই সাথে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, স্বাধীনতার সেই সূর্য সন্তানদের মুখ থেকে শুনলাম অনেক অজানা ঘটনা। সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে তারা কথা বলেন। তাদের স্মৃতিচারণ আমাদের সামনে ৭ মার্চের দিনটিকে জীবন্ত করে তুলেছিল।

শিশু থেকে বুড়ো, সব বয়সী মানুষ যেভাবে আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়েছিল, যেন এক আনন্দ উৎসব। কারণ এ স্বীকৃতি পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন, আছেন এবং আমাদের মাঝেই থাকবেন। এমন এক বিশ্বনেতা যে দেশের, সে দেশে জন্মে আমি গর্বিত।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com