তবে বিশেষ দিন বলেই সবচেয়ে বেশি মনে পড়েছে আমার বেশি প্রিয় দুজন শিক্ষকের কথা। তাদের দেওয়া শিক্ষা, উপদেশ, শাসন, আমার এই ছোটো জীবনের সঞ্চয়।
প্রথমেই বলি এএসএম নোমান স্যারের কথা। আমার জীবনে তার অবদান অনেক বেশি। আমি যেকোনো দরকারে তার কাছে যাই। তিনি কখনও বিরক্ত হন না। হাসি মুখে আমার সমস্যার সমাধান করে দেন। তিনি সাহায্য করেন, উপদেশ দেন আবার শাসনও করেন।
স্যার আমার পড়াশোনাসহ অন্য অনেক ক্ষেত্রেও নানান বাস্তবতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
আর একজন হলেন জাকারিয়া হোসেন স্যার। যার পড়ানোর কৌশল আমাকে বরাবর মুগ্ধ করে। তিনি একটু অন্যরকমভাবে আমাদের পড়ান।
প্রত্যেক বিষয় আমাদের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরেন। আমাদের যেকোনো সমস্যাই তিনি হাসি মুখে সমাধান করে দেন। তিনি আমাকে বাংলা সাহিত্যের সাথে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমার লেখালেখির ক্ষেত্রেও তিনি আমাকে নানান ভাবে অনুপ্রেরণা যোগান।
আমার জীবনের যেটুকু সাফল্যের পেছনে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। আমার ১৪ বছরের এই জীবনে তাদের শিক্ষক হিসাবে পাওয়া খুবই গর্বের।
শিশুর ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নির্ভর করে পরিবার আর শিক্ষকের ওপর। তবে শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষকের গুরুত্বই সব চেয়ে বেশি। শিক্ষকই আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর। বিশ্বের সব শিক্ষকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও আমার সালাম।