ভাবতেই পারো, কে দিলো, কেনো উপহার পেলাম এতগুলো বই? সে কথাই আজ বলব সবাইকে।
আমি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক। হ্যালোতে শিশু সাংবাদিকরা নিজের, অপরের, পরিবারের, স্কুল-কলেজের, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি বিশ্বের খবরাখবরও লেখে। অনেকেই এখানে আঁকে, ক্যামেরায় তোলা ছবি, ভিডিও স্টোরি পাঠায়।
আমার আগ্রহ ছিল ভিডিও স্টোরি করার। সেই সুবাদেই আমার এই প্রাপ্তি। বোধ হয় আজ পর্যন্ত আমি সব চেয়ে বেশি স্টোরি পাঠিয়েছি আর তাই পেয়েছি একরাশ বই। কোনটা ছেড়ে কোনটা পড়ি, বুঝতে পারছি না! তাই ভাবলাম পড়া শুরু করার আগে, বই পেয়ে আমার অনুভবের কথাগুলো সবার সাথে শেয়ার করি।
আমরা সবাই জানি, বইয়ের চেয়ে বড় উপহার যেমন হতে পারে না তেমনি বই পাল্টে দিতে পারে মানুষের মনোজগৎ। কেননা বই মানুষের মনকে সুন্দর করে, সমৃদ্ধ করে। মানুষের জীবন, সমাজ-রাষ্ট্রকে পাল্টে দিতে সাহায্য করে।
বই পড়ার ভেতর দিয়েই মানুষ তার মনকে উন্নত ও সুন্দরের পথে নিয়ে যেতে পারে। তাই যেদিন শুনলাম হ্যালোতে যারা নিয়মিত লেখে, ভিডিও করে তাদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসাবে বই পাঠানো হবে। আমি বরাবর নিয়মিত। তাই আশায় ছিলাম, বই আমি পাবই। তবে এত বই পাবো ভাবিনি!
শনিবার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ইয়া বড় একটা বইয়ের কার্টন দেখে আমি হতবাক। সব ধরনের বইই আছে এর মধ্যে। আর সব থেকে মজার কথা আমার প্রিয় লেখকের বইও পেয়েছি। কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, রকিব হাসান, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং আরও অনেক বই।
আমি মনে করি, যে বইটি পড়া হয়নি, সেটিও নতুন বই। বহু আগে প্রকাশিত বইটিও নতুন, যদি তা পড়া না হয়ে থাকে। আবার একই বই অনেকবার পড়া যায়। সব বই পড়ে শেষ করা ইচ্ছা আছে আমার। আর যারা পড়তে ভালোবাসে তাদেরও পড়তে দেবো!
তোমরাও চাও এমন উপহার? যারা বই পড়তে ভালোবাসো তাদের কানে কানে বলি, হ্যালোতে নিয়মিত লেখো আর ভিডিও স্টোরি পাঠাও, পেয়ে যাবে কাড়িকাড়ি মজাদার সব বই।