স্বপ্ন দেখতে হয় অন্যের কল্যাণে। আর বিলিয়ে দিতে হয় নিজেকে, গাছের মতো, ফুলের মতো, কুসুমগন্ধরাশির মতো। তবেই মানব জীবন সার্থক করে তোলা সম্ভব।
কিন্তু আমরা জীবনে স্বপ্ন দেখি, নিজেকে কীভাবে সুখী করার। দেশ-বিদেশে শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। কিন্তু নিজে সুখী হতে হলে তো পাশের মানুষদেরও সুখী দেখতে হবে!
হাতিয়ে নেওয়ার মাঝে সুখ নেই, বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই সুখ। সুখী হতে হলে আশপাশের মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা যে যেখানে আছি সেখান থেকেই যদি নিজের চারপাশের মানুষ,শুধু নিজের গ্রামটিকে নিয়ে ভাবি, নিজের গ্রামকে সুন্দর করে সাজাই, গ্রামের সহজ সরল মানুষকে একটু সচেতন করি তবেই সত্যিকারের সুখী হওয়া সম্ভব।
অভাব থাকবে। তবু এর মাঝেও মানুষকে সচেতন করার ব্রত নিয়ে সুখী হওয়া যায়। নিজের গ্রামকে বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম ও মাদকমুক্ত করতে, গ্রামের প্রতিটি শিশুকে স্কুলে পাঠানোয় বা পরিচ্ছন্নতা শেখাতে বেশি কিছুর দরকার নাই।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী। তিনি ১০ কোটি শিশুর কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ১০ কোটি তরুণকে সম্পৃক্ত করার কাজে নেমেছেন। আমরা সমর্থ শিশুরাও যদি একজন করে শিশুর দায়িত্ব নিই, তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতন করে তুলতে পারি তবেই নিজের শিক্ষা সার্থক হবে বলেই আমি মনে করি। কারণ সব দায়িত্ব সরকারের, এই ধারণা নিয়ে বসে থাকলে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকাটা হবে খুব করুণ।