পয়লা বোশেখের খুব ভোর বেলা উঠেছি। আমি আর মা ভোরেই উঠি। কিন্তু এদিন উঠেই জান্নাতকে দেখে আমি আর মা অবাক। কারণ ভোরে ওকে ঠেলেও ঘুম ভাঙানো যায় না। ওর ঘুম ভাঙে বেশ বেলা করে।
প্রতিদিন কত কষ্ট করেই না ওর ঘুম ভাঙাতে হয় আম্মুর। আজ ভোরে ওঠার রহস্য হচ্ছে ও আমার সাথে বৈশাখের অনুষ্ঠানে যেতে চায়। আমিও ওকে কথা দিয়েছিলাম নিয়ে যাব।
শুধু নিয়ে যাওয়া নয়, অনুষ্ঠানের পরে বৈশাখী মেলায় নিয়ে গিয়ে অনেক কিছু কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতে হয়েছে। তাই আর ঘুমিয়ে থাকতে পারেনি। উঠে পড়েছে অনুষ্ঠানে যাওয়ার উত্তেজনায়।
কদিন আগেই আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল মেলায় যাওয়া নিয়ে।
ও আম্মুকে বলল, ‘ভাইয়ার স্কুলের পাশেই মেলা বসে, সেখান থেকে ভাইয়া আমাকে অনেক কিছু কিনে দেবে।’
তবে আম্মু বেশ চিন্তায় ছিলেন। ওর বয়স মাত্র সাত বছর। মেলায় গিয়ে আবার হারিয়ে যায় কিনা। তাই আম্মু বারবার করে আমাদের সতর্ক করলেন। যাতে কিছুতেই আমি জান্নাতের হাত না ছাড়ি।
এরপর আম্মু নাশতা তৈরি করে আমাদের ডাক দিলেন। আমি আর জান্নাত একসঙ্গে নাশতা করে নিলাম। তারপর আম্মু ওকে সাজিয়ে দিলেন। ও আমার হাত ধরে নাচতে নাচতে মেলায় চলল।
দেখতে দেখতেই হয়তো ও বড় হয়ে যাবে। বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ঘুরবে মেলায়। তখন কি এই দিনের কথা মনে থাকবে ওর?