প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রজনীকান্ত সেনের এই ছড়াটি পড়েছিলাম। গ্রামে বেড়ে উঠেছি। তাই বাবুই পাখি চেনা কষ্ট ছিল না। তাল গাছে বাবুই পাখির বাসাখানা দেখলেই ছড়াটি মনে পড়ত।
শৈশবে দেখতাম বড় বড় তাল গাছ জুড়ে বাসা বেঁধে বসবাস করত বাবুই পাখি। কিন্তু আজকাল আর দেখা যায় না। গর্বিত ভঙ্গিতে উড়ে না বাবুইয়ের বাসা।
খড় কুটো দিয়ে কত কষ্ট করে সে বাসা তৈরি হতো। বাবুই পাখি চলাচল করে দলবদ্ধ ভাবে। বাবুই পাখির ঝাঁক দেখতে খুব দারুণ।
বিকেলে যখন মাঠে খেলতে যেতাম তখন বাসা ধরে বাবুইয়ের দোল খাওয়া দেখতাম। কি অদ্ভুত সে দৃশ্য।
এখন কোথায় সব? ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে তাল গাছগুলোর দিকে তাকাই। নেই একটা বাসাও কোথাও চোখে পড়ে না।
মাঠে সেই পুরনো বন্ধুরা নেই, বাবুই পাখির বাসা নেই, চড়ুই পাখির কিচিরমিচির নেই। খুব সহজেই শৈশব হারিয়ে গেল.