আমরাও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে চাই

ইভটিজিংয়ের কারণেই অনেক নারী কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে ভয় পায়।
আমরাও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে চাই

ইভটিজিং বা নারী উত্ত্যক্তকরণ শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। এমন কোনো গ্রাম বা শহর পাওয়া যাবে না যেখানে কোনো মেয়ে ইভটিজিং এর শিকার হয় না।

নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে অনেক বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ইভটিজিং। স্কুলে যাওয়ার পথে হরহামেশাই মেয়েরা ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। ইভটিজিং রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে অনেক পরিবার উল্টো মেয়েদের স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। ঘটছে বাল্যবিয়ের মতো ঘটনাও।

অনেক সময় ইভটিজিং এর শিকার হওয়ার জন্য মেয়েটিকেই দায়ী করা হয়। পোশাক ঠিক ছিল না, একা বাইরে গিয়েছিল ইত্যাদি বলে দোষারোপ করা হয় ভূক্তভোগী মেয়েটিকে।

ইভটিজিংয়ের কারণে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন অভিভাবকরা। যে অভিভাবকরা তার মেয়েকে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেন তারাও এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকেন। বাইরে কোনো কাজে পাঠাতে সায় দিতে চান না। এসব কারণেই অনেক মেয়ে তার প্রাপ্য স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়।

বাল্যবিয়ের অন্যতম কারণ এই ইভটিজিং। সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে অনেক অভিভাবক মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেন। ইভটিজিংয়ের কারণেই অনেক নারী কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে ভয় পায়।

আমি দশম শ্রেণিতে পড়ছি। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় স্কুলে বা অন্য কোনো কাজে কোথাও যাওয়ার সময় আমার বাবা কিংবা মা আমার সঙ্গে যান। আমার বাসা যখন স্কুলের কাছে ছিল তখন একা যাতায়াত করলেও এখন বাসা দূরে হওয়ায় সবসময় একজন অভিভাবক আমার সাথে থাকেন।

এই পরিস্থিতির উন্নয়ন চাই। মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে এমন পরিবেশ চাই আমাদের দেশেও।  একটা ছেলে যেভাবে নির্ভয়ে চলাফেরা করে, বাজারে যায়, মাঠে যায়, আমরা মেয়েরাও সেই নিরাপত্তা চাই।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com