
প্রতি রাতে ঘুমানোর পর যিনি ঘরে এসে দেখে যান আমি ঘুমিয়েছি কিনা অথবা কাক ডাকা ভোরে যিনি ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনিই আমার আম্মু।
হাঁটতে শেখার দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জীবনে যতবার হোঁচট খেয়েছি ততবার আম্মুই আমাকে টেনে তুলেছেন।
মা আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক। সব ভালো মন্দের শিক্ষা আমি মায়ের কাছে পেয়েছি। বাবার শাসনের কাছে শখের বিষয়গুলো হার মেনে যেত। কিন্তু মা ঠিকই আমার শখগুলোকে মূল্য দেন।
আমার ঘুরে বেড়াতে অনেক পছন্দ। কিন্তু বাবা তাতে বাধ সাধলেও মা কখনো আপত্তি করেন না।
আগে আম্মু যখন বকা দিতেন তখন খারাপ লাগত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন আমার যেন মায়ের বকা শুনতেই ভালো লাগে। আমি ইচ্ছে করেই মাঝেমধ্যে বকা খাওয়ার মতো কাজ করে বসি।
এই বছরের শুরুতে আমি স্কাউটের বার্ষিক ক্যাম্পে ছিলাম। সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আমি বাসায় এ বিষয়টা জানাইনি। কিন্তু বাসায় ফিরে জানতে পারি আম্মু এই দুর্ঘটনার কথা ঠিকই শুনেছেন এবং অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা করার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। আমাকে ছুঁয়ে দেখার পর তিনি সুস্থ হতে শুরু করেন।
সন্তানের যে কোনো বিপদে মায়েরা কত বিচলিত হোন বা ভেঙ্গে পড়েন সে ব্যাপারটি সেদিন দেখতে পেলাম।
মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য আমার প্রার্থনা। সবার আম্মুই যেন ভালো থাকেন সব সময়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭ । জেলা: সিলেট।