পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে আমার একটা দখল আছে। যা আন্তঃস্কুল থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। আর আমার এই রাস্তায় আমার সহযাত্রী আমার চার বন্ধু- মাহিন, জাহিদ, নাবিল ও মাহফুজ।
বিতর্ক থেকে শুরু করে কবিতা, গান কিংবা বিজ্ঞানমেলাসহ এমন খুব কম প্রতিযোগিতা রয়েছে যা আমরা হেরেছি। বেশিরভাগ সময় প্রথম স্থানটাই থাকতো আমাদের দখলে। আর এই পথে আমাদের নির্দেশক ছিলেন রিটন স্যার।
স্কুলের অনেকে কিংবা এলাকার লোকজন আমাদের পঞ্চপাণ্ডব বলেও সম্বোধন করেন। ২০২১ সালে উপজেলা থেকে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দেখা হলো সাংবাদিক তপন দাদার সঙ্গে। দেখা হতেই তিনি বললেন কী খবর আজ তুমি একা নাকি?
এছাড়াও যে কোনো অনুষ্ঠানে একা গেলে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও একই প্রশ্ন করে। আমরা এই পাঁচজন শিক্ষকদের মনে একটি সুন্দর জায়গাও করে নিতে পেরেছি। শিক্ষকেরা একটু বেশিই ভালোবাসেন।
বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা ছিলাম একটি আতঙ্কের নাম। আমাদের জন্য অনেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভয় পায়। তাদের ধারণা ছিল পুরস্কার তো সব আমরা নিয়ে যাব। এই বিষয়টি আমি উপভোগ করি।
আমাদের পরিচয়টা ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। কিন্তু দেখে মনে হয় হাজার বছরের পরিচয়। এসএসসির পর কে কোথায় যাব জানি না। আমি বিশ্বাস করতে চাই, এই সম্পর্ক থেকে যাবে আমাদের অন্তরে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: মৌলভীবাজার।