আমি চাই, স্কুল পর্যায় থেকেই সব শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত অর্থায়নের শিক্ষা দেওয়া উচিত।
Published : 04 Jan 2025, 08:16 PM
একটি প্রবাদ আমরা প্রায়ই শুনে থাকি- আয় বুঝে ব্যয় করো। জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য এটা মেনে চলা খুবই প্রয়োজনীয়।
শিশুরা হয়ত আয় করে না কিন্তু তারা নানা ধরনের শিশুপণ্য কিনে থাকে বা কিনতে দেখে। অর্থাৎ আয়ের আগে ব্যয় করাটা আগে শেখা হয়ে যায়।
প্রাথমিক স্কুলে আমাদের যোগ-বিয়োগ শেখানো হলেও নিজের ব্যয়-সঞ্চয় নিয়ে খুব কম ধারণাই দেওয়া হয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এই ধারণাটা একদম ছোট থেকেই দেওয়া প্রয়োজন।
একজন মানুষ তার আয় থেকে কত টাকা ব্যয় করবে, আর ভবিষ্যতের জন্য কতটুকু সঞ্চয় করবে- এসবের পরিকল্পনা করাকে 'ব্যক্তিগত অর্থায়ন' বলে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানলে আমরা বুঝতে পারব কোন খাতে টাকা খরচ করা জরুরি আর কোন খাতে খরচ করা উচিত নয়।
শৈশব থেকে এই ধারণা থাকলে আমরা অর্থ ব্যবহারে সচেতন হতে পারি, অপচয় না করে প্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যয় করার অভ্যাস তৈরি হয়। পাশাপাশি সঞ্চয়ের মানসিকতাও গড়ে ওঠে, টাকা জমিয়ে কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় সেটাও সহজে বোঝা যায়।
আমাদের দেশে এই বিষয়টি নবম-দশম শ্রেণির ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়। কিন্তু অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ধারণা পায় না। অথচ সবাইকেই অর্থ ব্যবস্থাপনা জানতে হবে, কারণ এটা জীবন চালানোর খুবই দরকারি দক্ষতা।
আমি চাই, স্কুল পর্যায় থেকেই সব শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত অর্থায়নের শিক্ষা দেওয়া উচিত। আর্থিকভাবে সচেতন হওয়ার ফলে শিশুরা ভবিষ্যতে জীবনের বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে আরও ভালোভাবে।
অর্থ ব্যবস্থাপনার শিক্ষা শুধু টাকা জমানোর কথা নয়, বরং দায়িত্বশীলভাবে ব্যয় করা, অপচয় এড়িয়ে চলা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখায়। তাই ছোট বয়স থেকেই এটি শেখা খুব প্রয়োজন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। বয়স: ঢাকা।