স্বপ্নের কলেজে আমার প্রথম দিন

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমার জন্য সেই স্বপ্ন পূরণ ছিল আসলেই স্বপ্নের মতো।
স্বপ্নের কলেজে আমার প্রথম দিন

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছেছি শিক্ষা জীবনের আরেক অধ্যায়ে, যার নাম 'কলেজ জীবন'। কেবল দুই বছরের এ জীবন আমাদের শেখাবে কীভাবে জীবন গড়তে হয়, কীভাবে জীবন এগিয়ে যাবে।

মাধ্যমিক স্তরে আমি ছিলাম শৃঙ্খলার কাড়াকাড়িতে। যা আমাকে শিখতে সাহায্য করেছে অনেক কিছু। প্রাণপ্রিয় সেই প্রতিষ্ঠানেরই অনেক সিনিয়রের মুখে শুনতাম একটা কলেজের নাম। সেটা হলো ঢাকার নটর ডেম কলেজ।

আমি পরে নানা খোঁজ-খবর নিলাম। আর মনের অজান্তেই সেটি হয়ে গেল আমার স্বপ্ন। আমার বাড়ি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে খেয়াল করতে শুরু করি কত বন্ধু ঢাকায় যায়, কেবল আমিই পারি না। তাই ঠিক করি কলেজে ভর্তি হয়েই রাজধানীতে যাব এবং তা হবে নটর ডেম কলেজে।

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমার জন্য সেই স্বপ্ন পূরণ ছিল আসলেই স্বপ্নের মতো। ২৭ জানুয়ারি আমি হয়ে উঠি নটর ডেম পরিবারের একজন সদস্য।

প্রথম দিন কলেজে যাওয়ার জন্য সকাল সকাল তৈরি হয়ে কলেজ ফটকে উপস্থিত হই। লম্বা এক সারি, শত শত শিক্ষার্থী। তবে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনেই চলছে ভেতরে প্রবেশ।

কিছুক্ষণ পর প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল মাতা মেরী। তার পাশেই শিক্ষার্থীদের ছড়াছড়ি। ডানে মোড় নেওয়ার পরই চোখে পড়ল তিনটি ভবন।

আমার শ্রেণিকক্ষ পড়েছে গাঙ্গুলি ভবনে। সেখানে গিয়ে দেখি কক্ষ ভর্তি নতুন সহপাঠী। কক্ষে ঢুকে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম। কথা হলো কয়েকজন নতুন সহপাঠীর সঙ্গে।

দেশের প্রায় প্রতিটা জেলার শিক্ষার্থী আছে আমাদের শ্রেণি কক্ষে। একেকজন একেক জেলা থেকে এসেছে। তাদের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে সত্যিই ভালো লাগল।

প্রথমদিন পড়াশোনাতে ছাড় থাকলেও শৃঙ্খলার দিক থেকে কোনো ছাড় ছিল না। সময় একদম ঘড়ির কাটার সঙ্গেই সবাইকে মেনে চলতে হচ্ছিল। পাঁচ মিনিটের বিরতি মানে পাঁচ মিনিটই সেই বিরতি। সময়ের কোনো এদিক-সেদিক নেই।

কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের দেখতে পেলাম। শিক্ষকদের খুবই আন্তরিক মনে হলো। তারা আমাদেরকে নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে দিলেন, কী পড়ানো হবে, শিক্ষা পদ্ধতি কী হবে সেগুলোও কিছুটা আলোচনা করলেন।

প্রথমদিন পড়াশোনাতে ছাড় থাকলেও শৃঙ্খলার দিক থেকে কোনো ছাড় ছিল না। সময় একদম ঘড়ির কাটার সঙ্গেই সবাইকে মেনে চলতে হচ্ছিল। পাঁচ মিনিটের বিরতি মানে পাঁচ মিনিটই হবে সেই বিরতি।

শিক্ষকদের খুবই আন্তরিক মনে হলো। তারা আমাদেরকে নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে দিলেন, কী পড়ানো হবে, শিক্ষা পদ্ধতি কী হবে সেগুলোও কিছুটা আলোচনা করলেন।

এত ভারি ভারি কথার মাঝে আনন্দের কোনো ঘাটতি ছিল না। বেশ মজা করেছি সবাই। প্রথম দিনের প্রতিটা জিনিসই মনে থাকবে আজীবন।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬৷ জেলা: ঢাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com