জমিদারবাড়ি ঘুরে মনে হয়েছে স্থানটি অবহেলায় পড়ে আছে।
Published : 08 Jan 2025, 10:15 PM
আমি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় থাকি। এখানকার অন্যতম একটি ঐতিহাসিক নির্দশন হল- আঠারোবাড়ি জমিদারবাড়ি।
জানা যায়, জমিদার প্রমোদ চন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে ১৯২৬ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে আসেন। তখন তিনি এখানকার কাছারিবাড়ি উদ্বোধন করেন।
সময়ের ব্যবধানে ১৯৬৮ সালে এই কাছারিবাড়ি ভবনে স্থাপিত হয় আঠারোবাড়ি কলেজ। পরবর্তীতে কলেজের জন্য আরও ভবন তৈরি করা হয়। কলেজ চালুর পর রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি রক্ষার্থে কাছারিবাড়ি ভবনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রবীন্দ্র-স্মৃতি ভবন’।
আমি প্রথম যখন এই কলেজে ঘুরতে যাই তখন ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুভব করে ভীষণ গর্ববোধ করেছি। কিন্তু কিছুদিন আগে সেখানে গিয়ে যে দৃশ্য দেখি তা আমাকে হতাশ করেছে।
ভবনের দেয়ালে লেখা ‘রবীন্দ্র-স্মৃতি ভবন’ নামটি কে বা কারা মুছে ফেলেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি নাম মুছে ফেলার ঘটনা ঘটেছে মাত্র কিছুদিন আগে।
শুধু তাই নয়, জমিদারবাড়ি ঘুরে মনে হয়েছে স্থানটি অবহেলায় পড়ে আছে। যে অংশগুলো কলেজের অংশ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে না, সেগুলোর অবস্থা খুব করুণ। সে ভবনগুলো গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থে আঠারোবাড়ি জমিদারবাড়ির সংস্কার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে কলেজ ভবনের নাম আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। স্থানীয়রাও আমাকে বলেছে, নাম মুছে ফেলার বিষয়টি তারা ভালো ভাবে নেয়নি।
এটি শুধু একটি নাম মুছে ফেলার ঘটনা নয়। এটি আমাদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞারও একটি দৃষ্টান্ত।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ময়মনসিংহ।