ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান উৎসবকে কেন বিবেচনায় নেওয়া হয়নি?
Published : 14 Dec 2024, 07:57 PM
আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে।
এই সূচিতে পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি' উৎসবের মধ্যে পরীক্ষা রাখা হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো, পরীক্ষার রুটিন তৈরির সময় পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান উৎসবকে কেন বিবেচনায় নেওয়া হয়নি?
এসময় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ছাড়াও মুরুং, খুমি, চাক, খিয়াং, লুসাই, বমসহ আরও বেশ কয়েকটি জাতিসত্তার মানুষ নববর্ষকে নিজ নিজ ঐতিহ্য অনুযায়ী উদযাপন করে থাকে।
পাহাড়ে এসময় বর্ণাঢ্য আয়োজন হয়। বৈসাবি শুধু উৎসব নয়, বরং প্রতিটি জাতিসত্তার মানুষের কাছে আবেগের প্রতীক।
এই উৎসবে এক জাতিসত্তার মানুষ অন্য জাতিসত্তার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। এমনকি বাঙালিরাও এতে যোগ দেয়। এই উৎসব পাহাড়ের সব জাতির ঐক্যের প্রতীক।
কিন্তু বৈসাবি উৎসবের মধ্যে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম পত্রের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা রাখা হয়েছে।
তাহলে এই সম্প্রদায়ের পরীক্ষার্থীরা কীভাবে উৎসব ছেড়ে পরীক্ষায় মনোযোগ দেবে? কেন তাদের আনন্দঘন মিলনমেলা থেকে বঞ্চিত করা হবে?
আমরা চাই, পরীক্ষার সূচি বদল করা হোক। আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিষয়ে সাহায্য করবে এবং আমাদের হতাশ করবে না।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: খাগড়াছড়ি।