‘কয়েক বছর ধরে শিক্ষাখাতে ২০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু সদ্য ঘোষিত বাজেটেও সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
Published : 09 Jun 2024, 03:42 PM
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নতুন অর্থবছরে মোট বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এতে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ রাখা হয় এক লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও জিডিপির ১.৯৮ শতাংশ।
কয়েক বছর ধরে শিক্ষাখাতে ২০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু সদ্য ঘোষিত বাজেটেও সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল এক লাখ চার হাজার ১৩৭ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে সংশোধন করে ৮৯ হাজার ১২ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
বর্তমান বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়। গেল অর্থ বছরে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। গেল অর্থ বছরের এই খাতে বরাদ্দ ছিল জন্য ছিল ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা।
এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের জন্য ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গেল অর্থ বছরে ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।
আমাদের দেশের শিক্ষাখাতের বাজেট মূল বাজেটের ১১ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। অথচ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের শিক্ষাখাতের বরাদ্দ বাজেটের ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৬ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা যেন একই বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছি।
তবে আমি চাই যতটুকুই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার যেন সুষ্ঠ ব্যবহার করা হয়। গবেষণা খাত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বাজেটের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।
একই সঙ্গে সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আগামী অর্থ বছরের বাজেটে যেন শিক্ষাখাতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ করা হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।