বিশ্বের নানা অঞ্চলেই শিশুরা অধিকার বঞ্চিত। তাদের জন্য এ পৃথিবী যেন নরকের সমান।
কিছুদিন ধরে পত্রিকা পড়ে, টিভি দেখে জানতে পারছি আমাদের দেশে চা বাগানের শ্রমিকেরা প্রতিদিন ১২০ টাকা মজুরি পায়। আমাদের স্কুলের ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার খেলে একজনের ১৬০ টাকা লাগে। তাহলে এই শ্রমিকেরা ১২০ টাকা দিয়ে তিন বেলা কীভাবে খাবে? তারা ঘরের শিশুদের জন্য খাবার কিনবে কীভাবে?
বর্তমানে জীবনযাপনের জন্য ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিলেও একজন মানুষের পক্ষে সহজে চলা বেশ কঠিন। খাবার খরচ জোগাড় করতেই যদি হিমসিম খেতে হয় তবে শিক্ষা, চিকিৎসাতেও যে পিছিয়ে যাবে তা সহজেই বোঝা যায়। ওই পরিবারের শিশুদের পুষ্টির বিষয়টিও বড় করে সামনে আসে। তাহলে এই শিশুদের খাবার, চিকিৎসা, পড়াশোনার অধিকার কোথায়?
এবার যদি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের কথা বলি, তাদের জীবনটাও মানবেতর। নিজের দেশে এই শিশুরা নিরাপদ ছিল না। তাদের কোনো অধিকার ছিল না। ইউনিসেফ থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০২১ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিশু ছিল চার লক্ষ ৫৬ হাজার ৭১২ জন। এই শিশুরা নিজের দেশে ফিরে যেতে পারছে না। তাদের দেশে তাদের ফিরে যাবার, ভালো থাকার অধিকার যেন নেই!
প্রতি বছর শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে অধিকার পায় না এমন শিশুদের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে আহত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে অনেক শিশু। কত শিশু খাবার পাচ্ছে না। কিন্তু একটি শিশুও জানে না বড়রা কেন তাদের সঙ্গে এমন করছে। ঘরে-বাইরে সবকিছুই এত অনিরাপদ কেন?
প্রতিবেদকের বয়স: ১১। জেলা: ঢাকা।