“আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মতো কথা বলতাম আর কল্পনা করতাম নিজেকে। তখন থেকেই হ্যালোর সঙ্গে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা তৈরি হয়।”
Published : 19 Dec 2024, 07:07 PM
আমার জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের এই সময়ে। আর এই সূচনার কারিগর শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
হ্যালোর কথা প্রথম শুনেছিলাম বন্ধুদের মুখে। শিশু সাংবাদিকদের সুন্দর সুন্দর সংবাদ প্রতিবেদন দেখে মুগ্ধ হতাম। তখনই মনে হয়েছিল, আমিও যদি একদিন এমন করতে পারতাম!
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মতো কথা বলতাম আর কল্পনা করতাম নিজেকে। তখন থেকেই হ্যালোর সঙ্গে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা তৈরি হয়।
বন্ধুর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে হ্যালোতে শিশু সাংবাদিক হওয়ার জন্য নিবন্ধন করি। পরবর্তীতে হ্যালো আমাকে সুযোগ দেয় তাদের সঙ্গে কাজ করার। এই সুযোগ আমার জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন।
গেল এক বছরে আমি হ্যালোকে কতটা দিয়েছি তা হয়ত হিসাব করা যাবে না, কিন্তু হ্যালো আমাকে এমন কিছু দিয়েছে যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। হ্যালো আমাকে শুধু শিখিয়েই থেমে থাকেনি, আমাকে এমন একটি জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে যা আমার জন্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।
আমার শিক্ষক তালিকায় আরও একটি নাম যুক্ত হয়েছে, এটি হল- হ্যালো। প্রতিদিন হ্যালো থেকে আমি নতুন কিছু শিখছি, যা আমাকে অবাক করছে এবং নিজের দক্ষতাকে প্রতিনিয়ত নতুনভাবে আবিষ্কার করতে সাহায্য করছে।
হ্যালো আমাকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছে, আবার সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করার পথও দেখিয়েছে। শুধু এক বছর নয়, আমি হ্যালোর সঙ্গে আরও অনেক দিন কাজ করতে চাই।
হ্যালো আমার কাছে শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। আমি কৃতজ্ঞ কারণ হ্যালো আমাকে দেখিয়েছে, স্বপ্ন শুধু দেখার জন্য নয়, তা বাস্তবায়ন করারও সুযোগ আছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।