পৃথিবী নিরাপদ হবে কবে?
পৃথিবীতে বর্তমানে কোনো বিশ্বযুদ্ধ নেই। তবে অঞ্চলভেদে নানা দামামা, সংঘাত আর যুদ্ধ লেগেই আছে।
কিন্তু আঞ্চলিক এই সংঘাত পুরো বিশ্বকেই কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করছে, অস্থির করে তুলছে। মহামারির আঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন অস্থিরতা বিশ্বের অর্থনীতিকে টালমাটাল করে দিচ্ছে।
যুদ্ধগুলো সাধারণত ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। অন্যকে আক্রমণ করার জন্য নানা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, ক্ষতি সাধন করা হয়। বিশ্বের একটি শ্রেণি বা গোষ্ঠী যখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে তখন অনাহারে রয়েছে কোটি কোটি মানুষ। এরমধ্যে কত শিশু-কিশোর যে রয়েছে তার নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান আমি খুঁজে পাইনি।
এই দেশগুলো যুদ্ধের পেছনে যে ব্যয় করে সেগুলো মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে করলে তার ব্যায় তুলনামূলক কম হবে বলেই আমি মনে করি। আমরা আন্তর্জাতিক নানা ফোরামে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর তরফ থেকে বিশ্ব শান্তির কথা শুনতে পাই। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে খুব একটা বাস্তবায়ন দেখতে পাই না।
সিরিয়ায় শিশুরা কাঁদে, আফগানিস্তানে শিশুরা কাঁদে, ইউক্রেনে শিশুরা কাঁদে। বন্দুকের নলের মুখে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। অনেক শিশু হারিয়েছে তাদের পরিবার, স্বজন ও নিজ মাতৃভূমি।
এই শিশুদের তো যুদ্ধ বোঝার বয়সও হয়নি। তবু তারা চোখের সামনে দেখছে বোমা, বারুদ, গুলির মতো ভয়ংকর জিনিসগুলো। এই দায় তো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এড়াতে পারে না। এই সমস্যাগুলো সমাধানে তাদের যতেষ্ট দায় রয়েছে।
এই শিশুদের বিকাশ, বেড়ে ওঠা আর ভবিষ্যত চলে যাচ্ছে অন্ধকারে। শিশুর জন্য এই পৃথিবী নিরাপদ হয়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।