'দেশের চলমান পরিস্থিতির খবর না পাওয়ায় বাড়তে থাকে অস্থিরতা। সেই সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উদ্বিগ্নও হয়ে পড়েছিলাম'
Published : 01 Aug 2024, 11:06 PM
অন্য সময় স্কুল বন্ধ থাকলে আনন্দ হলেও এবার আনন্দ হয়নি। কারণ এবার স্কুল বন্ধ হওয়ার বিষয়টি ছিল আতঙ্কের। আমাকে কারফিউয়ের মাঝে ঘরবন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অস্থির পরিবেশ আমাকে প্রতিনিয়ত উদ্বিগ্ন করেছে।
করোনাভাইরাসের সেই লকডাউনের মতো কারফিউয়ের ঘরবন্দি সময়েও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে অস্থিরতা কাজ করছে। খবরের পাতায় একের পর এক মন খারাপের সংবাদ দেখতে হচ্ছে।
এবারের ঘরবন্দি সময় আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে যখন ইন্টারনেট ছিল না। বিনোদন থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের চলমান পরিস্থিতির খবর না পাওয়ায় বাড়তে থাকে অস্থিরতা। সেই সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উদ্বিগ্নও হয়ে পড়েছিলাম।
তবে ইন্টারনেট ছাড়া এসময়ে আমি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি এবং মোবাইল থেকে বিরত থেকে বই পড়ে সময় কাটিয়েছি। এসব শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য হলেও আমার মন উদ্বিগ্ন থাকত দেশের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য।
৩ জুলাই থেকে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। চারটি পরীক্ষা হওয়ার পর বাকি পরীক্ষাগুলো স্থগিত হয়ে যায়। পরীক্ষা স্থগিতের ফলে আমার মন খারাপ হয়। কারণ এতে মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে।
কারফিউয়ের মধ্যে থেকে এখনো সব সময় কামনা করি দেশের সকল পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক হয়। আর সকলে যেন নিরাপদে থাকে। কারফিউ এখনো চললেও আগের চেয়ে সময় কমানো হয়েছে। তবুও সব সময় বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকছি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।