শুধু মানিয়ে নেওয়া নয়, বরং ক্ষতিকারক গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করাই দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকার উপায়।
Published : 15 Mar 2025, 08:03 PM
জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে, তা আমরা প্রতিদিনই অনুভব করছি। প্রায়ই আমরা বন্যা, তীব্র খরা ও ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হচ্ছি।
আমি বিভিন্ন নিবন্ধ পড়ে জেনেছি, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার প্রধান কারণ। শিল্পোন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন এ সমস্যার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাটিতে লবণাক্ততা বাড়ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় অঞ্চল জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলে খরা বাড়ছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কৃষিবিদরা নতুন ধান ও লবণসহিষ্ণু শস্য উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে।
বিশ্বের ধনী দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু আসল সমাধান কী? শুধু মানিয়ে নেওয়া নয়, বরং ক্ষতিকারক গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুর ক্ষতি প্রতিরোধ করাই দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকার উপায়।
আমি মনে করি, উন্নত দেশগুলো যদি তাদের কার্বন নিঃসরণ কমায় এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তাহলে হয়তো বৈশ্বিক উষ্ণতার গতি রোধ করা সম্ভব হবে।
আমাদেরও সচেতন হতে হবে। পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, গাছ লাগানো, বিদ্যুতের অপচয় রোধ, প্লাস্টিক কম ব্যবহার এসব ছোট ছোট উদ্যোগ বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: গাজীপুর।