বাবা আমাদের বলেন, ১৯৭১ সালে এই হোস্টেলটিই ছিল পাকিস্তানি সেনাদের টর্চার সেল।
Published : 06 Apr 2025, 08:16 PM
নিজের শহরে ঈদ কাটালে আনন্দ বেড়ে যায় বহুগুণে। বরাবরের মত এবারের ঈদও আমার নিজ জেলা জামালপুরে কাটিয়েছি।
প্রথম দুই দিন তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। তবে ঈদের তৃতীয় দিন বাবা হঠাৎ বললেন, চল কলেজের দিকে ঘুরে আসি।
আমার মা-বাবা দুজনেই সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে পড়েছেন। এখানে আমার শৈশবের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে। এই কলেজের মাঠেই আমি হাঁটতে শিখেছি।
দুপুরের রোদ মাথায় নিয়ে বাবার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। কলেজ প্রাঙ্গণ আর পুকুরপাড় দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম। তারপর কলেজের পেছনে পরিচিত এক বাড়িতে বেড়াতে যাই। সেখানে আমরা কিছু সময় কাটাই।
সেখান থেকে আমরা হেঁটে হেঁটে ঐতিহাসিক খ্রিস্টান সমাধিক্ষেত্রে যাই। জামালপুরে বহুবার এলেও এই জায়গায় কখনো যাওয়া হয়নি।
সেখান থেকে আবার ফিরে এলাম কলেজে। সেখানে পরিত্যক্ত ডিগ্রি হোস্টেল দেখি। বাবা উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় এই হোস্টেলে থাকতেন।
বাবা আমাদের বলেন, ১৯৭১ সালে এই হোস্টেলটিই ছিল পাকিস্তানি সেনাদের টর্চার সেল। এখানেই অনেক মুক্তিকামী বাঙালিকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।
বিকেল পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াই আমরা। তারপর সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরে আসি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।