‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি নেতিবাচক প্রভাব বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও আক্রান্ত করছে। আমি জাতিসংঘের শিশু তহবিল- ইউনিসেফের একটি জরিপে দেখেছি, শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বিশ্বের ১৬৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম।’
Published : 23 Nov 2023, 07:40 PM
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই বিষয় অস্বীকার করা যাবে না যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের পেছনে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কারণ নয়, মানবসৃষ্ট কারণও রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি নেতিবাচক প্রভাব বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও আক্রান্ত করছে। আমি জাতিসংঘের শিশু তহবিল- ইউনিসেফের একটি জরিপে দেখেছি, শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বিশ্বের ১৬৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম।
এগুলোর পেছনে মানবসৃষ্ট কারণ থাকলেও এতে শিশুদের কোনো ভূমিকা নেই। তবুও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ধরা যাক একটি শিশুর কথা। ঘূর্ণিঝড়ে ঘর হারিয়ে যে শিশুটি পরিবারের সঙ্গে উপকূল অঞ্চলের গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে বেঁচে থাকার জন্য, সে শিশুটির দ্বারা তো জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো কারণ সংঘটিত হয়নি।
ইউনিসেফ ২০১৯ সালে এক প্রতিবেদনে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধ্বংসী বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপর্যয়গুলো বাংলাদেশে এক কোটি ৯০ লাখের বেশি শিশুর জীবন ও ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে দরিদ্র বাংলাদেশিরা তাদের ঘরবাড়ি, আত্মীয়-স্বজন ও নিজের সামাজিক গোষ্ঠীদের ফেলে অন্যত্র নতুন করে জীবন শুরু করতে বাধ্য হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে এসব পরিবারের শিশুদের স্বাভাবিক জীবন হুমকির মুখে পড়ে। ফলে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।
শিশুরা সব ধরনের সঙ্কটের ভুক্তভোগী হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনও তার ব্যতিক্রম নয়। সেজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পরিকল্পনার ক্ষেত্রে শিশুদের বিষয় আলাদা করে বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: শেরপুর।