শিশুদের শেখাতে হবে আনন্দের সঙ্গে

শিশুদের শেখাতে হবে আনন্দের সঙ্গে

“শিশুরা খেলতে খেলতে শিখবে এমনটাই তো হওয়ার কথা।”

ছোটবেলা থেকে পড়ার প্রতি আমার বেশ আগ্রহ ছিল। এর কারণ হয়ত এটাই যে, আমার পড়াশোনার পরিবেশটা ছিল আনন্দের।

আমি পাঁচ বছর বয়স থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করি। যদিও আমাকে এখন পড়তেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। আমার পছন্দমতো সময়ে যেটা খুশি পড়তাম। যেহেতু আমাকে পড়ার জন্য জোর করা হতো না তাই আমি প্রচুর পড়াশোনা করতাম, এখনো করি।

আমি এমন অনেক শিশুকে দেখেছি যাদের কাছে শুরুতেই পড়াশোনাকে তুলে ধরা হয় নিরসভাবে। আমাদের পাশের বাসায় একটি মেয়ে থাকে। ওর বয়স মাত্র তিন বছর। প্রায়ই দেখি তার মা পড়তে বলছে কিন্তু সে পড়তে চাচ্ছে না।

তাকে যদি বইগুলো নেড়েচেড়ে খেলতে দেওয়া হতো তাহলে হয়তো বই দেখেই ভয় পেত না। তার কাছে পড়াশোনাটাকে সহজ করে উপস্থাপন করাটা জরুরী। শিশুরা খেলতে খেলতে শিখবে এমনটাই তো হওয়ার কথা।

অনেক পরিবারেই শিশুদের খুব অল্প বয়সে স্কুলে ভর্তি করানো হয়। শিশুদের শিক্ষার শুরুটা যদি বাড়িতেই আনন্দের সাথে করা যায় তাহলে তারা পড়াশোনায় আরো বেশি আগ্রহ পাবে বলে আমি মনে করি।

এবার একটু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বলি। বিজ্ঞান বিষয়টা কঠিন হলেও শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ করে তোলা যায়। আমার স্কুলে বিজ্ঞানাগার আছে। বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্লাস আমরা সেখানে করি।

রসায়নের বিক্রিয়াগুলো আমরা হাতে কলমে পরীক্ষা করে দেখি। বিশাল একটা পর্যায় সারণির পাশে দাঁড়িয়ে পড়ি মৌল সম্পর্কে। কোন পদার্থের গঠন কেমন সেগুলোরও ত্রিমাত্রিক মডেল আছে সেখানে।

জীববিজ্ঞান ক্লাসে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর কোষ। এ কারণে ক্লাসগুলো যেমন আনন্দঘন হয় তেমনি অনেক সহজে আমরা শিখতে পারি। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনেকেই সারাদিন না বুঝে বই মুখস্ত করে। এতে করে পড়াশোনা তাদের কাছে অনেক কঠিন মনে হয়। কিন্তু বুঝে পড়লে যেকোনো বিষয় অনেক সহজ হয়ে যায়।

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com