আমাদের পরিবারে আমার ঠাকুর দাদা, তার বাবা,তার ঠাকুর দাদা সবাই ছিলেন গ্রামীণ চিকিৎসক।
আগে আমাদের গ্রামের আশেপাশে কোনো চিকিৎসক না থাকায় আমার পরিবারে খুব নাম ডাক ছিল। এখনো আছে, তবে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে বললেই চলে। সেই সূত্রে আমার বাবা শ্রী পরিমল চন্দ্র শীলও হয়েছেন পল্লী চিকিৎসক।আজ আমি আমার পল্লী চিকিৎসক বাবার গল্প বলব।
আমি যখন প্রথম বার স্কুল কেবিনেট নির্বাচনের সাথে পরিচিত হই তখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। আমাদের স্কুলে তখন চলছিল নির্বাচনের প্রস্তুতি। কিন্তু সেটা কি তা আদৌও বুঝতাম না। তখন বাবা আমাকে বুঝিয়ে বললেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহ দিলেন।
তারপর এই ছোট্ট আমি অংশগ্রহণ করি স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে এবং সাফল্যের সাথে সর্বোচ্চ ভোটে জয়লাভ করি। সেদিন বুঝেছি আমার প্রতিটা কাজে উৎসাহ দিতে বাবা পাশে আছেন।
বাবা সব সময় বলেন, আগে মানুষের মতো মানুষ হও, তাহলেই তুমি জয়ী হবে।
এরপর পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাই, তখন বাবা বলেছিলেন, নিজের পরিচয় তৈরি কর, আমার নামে তোমাকে নয় বরং তোমার নামেই যেন সবাই আমাকে চিনতে পারে।
বাবার সেসব উপদেশ, উৎসাহ আমাকে অগ্রসর হতে সাহায্য করেছে এবং করছেও। বাবা সর্বদা বলেন মানুষের কল্যাণ করো, যেভাবে আমার পরিবার যুগ যুগ ধরে করে আসছে। চিকিৎসক হতে হবে এমন নয়, বরং তুমি তোমার মতো করে মানুষের কল্যাণ করে যাও তাহলেই তুমি সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারবে।
আমি এখন দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছি, জানি না কতটুকু পেরেছি তবে হ্যাঁ আজ আমি একটু হলেও বলতে পারব যে বাবাকে হবিগঞ্জ জেলার হাজারো শিক্ষার্থী আমার মাধ্যমে চিনতে পারবে। আজ আমি বিতর্ক করি, কবিতা লেখি, গান করি, কোডিং করি, রোবটিক্স ডিজিটাল আর্ট, লিডারশিপ, ক্লাব, সাংবাদিকতা করি।