স্পষ্ট মনে আছে, আমি যখন প্রথম পত্রিকা পড়ি তখন আমার বয়স ছিল এগারো বা বারো, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। তখন বুঝতাম না তেমন কিছু।
পত্রিকা ভালো লাগত, তাই শুধু শুধু পড়তাম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর একদিন যখন পত্রিকা হাতে নিই, তখন মনে হলো আমি যদি এমন করে পত্রিকায় লিখতে পারতাম!
তখন মনে প্রশ্ন জাগত কারা লিখে এই খবর? কাউকে কখনো জিজ্ঞেসও করা হয়নি এই সম্পর্কে। প্রশ্নের উত্তর না পেয়েই অনেক দিন চলে যায়। যখন অষ্টম শ্রেণিতে উঠি তখন জানতে পারি আমার ছোট মামা সাংবাদিকতা করেন। তিনি পত্রিকায় লেখালেখি করেন৷ আর সেদিনই আমার প্রশ্নের উত্তর পাই। সেদিন থেকেই মনে আগ্রহ জাগে আমি বড় হয়ে সাংবাদিক হব। আমিও একদিন লিখব পত্রিকার পাতায়।
যখন ছোট ছিলাম তখন সাংবাদিকতা মানে বুঝতাম না, কোনো কিছু নিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় কথা বলাই সাংবাদিকতা। তখন সাংবাদিকতার অর্থ জানতাম না।
যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন একজনের কাছে হ্যালোর কথা শুনি। তখনও বুঝতে পারিনি হ্যালো জিনিসটা আসলে কী। একদিন গুগল থেকে হ্যালো সম্পর্কে ধারণা পাই। জানতে পারি, শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট- হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
সাংবাদিকতা কী, প্রতিবেদন কীভাবে করতে হয়- সবই আমি শিখতে পেরেছি হ্যালো থেকে। ধীরে ধীরে আমি হয়ে গেছি হ্যালোর সাংবাদিক।