ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে আটজন শিশু নিহত ও বিকলাঙ্গ হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের উপর। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভুগতে হচ্ছে বেশি।
ইউনিসেফের ‘ইয়েমেনঃ চাইল্ডহুড আন্ডার থ্রেডে’র প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে অন্তত ৩৯৮ জন শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬০৫ জন। এছাড়া অনেক শিশু ভুগছে পুষ্টিহীনতায়। বছর শেষে প্রায় ১৮ লক্ষ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে।
শুধু তাই নয়, শিশুদের ব্যবহার করছে বিভিন্ন অস্ত্রধারী সংগঠন। আর এ সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০১৪ সালের সংখ্যা ১৫৬ হলেও ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭-এ।
ইয়েমেনে শিক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। প্রায় ২০ লাখ শিশুর পড়ালেখা থেমে গেছে।
ইয়েমেনের ইউনিসেফ প্রতিনিধি জুলিয়ান হার্নিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “শিশুরা বোমা হামলা বা বুলেটের আঘাতে মারা যাচ্ছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না।”
নয় বছরের শিশু লতিফা ইউনিসেফকে বলে, “আমি আমার বোনদের সাথে খেলছিলাম আর আশেপাশের অঞ্চলের বিস্ফোরণগুলোকে গা করছিলাম না। কিন্তু ঠিক তখনই আমাদের খুব কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটে।
“ধুলোর কারণে আমরা একে অপরকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আমি ভয়ে প্রার্থনা করতে থাকি।
“প্রার্থনা করি যেন এ যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়।"