পুলিশ হেফাজত থেকে হোয়াইট হাউজে

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ঘড়ি তৈরি করে বিপদে পড়েছে কিশোর আহমেদ মোহামেদ। স্কুলের শিক্ষক ঘড়িটিকে বোমা ভেবে বসায় এই বিপত্তি।

১৪ বছর বয়সী এই কিশোরের বিজ্ঞানে ঝোঁক খুব। এই আগ্রহ থেকেই স্কুলের শিক্ষককে দেখানোর জন্য নিজের তৈরি একটি ঘড়ি এনেছিল ও। আর সেখানেই ঘটলো বিপদ। শিক্ষক তাকে প্রশংসা বা উৎসাহের বদলে ধরিয়ে দিলেন পুলিশের হাতে।     

সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সোমবার ঘটেছে এই ঘটনা। ঘড়িকে বোমা ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ কাজ করেছে। চোখে বিজ্ঞানের স্বপ্ন মাখা এই কিশোরকে হাতকড়া পরে স্কুল থেকে বেরোতে হয়েছে। একেই বোধহয় বলে রজ্জুতে সর্পভ্রম!      

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকআর্থার হাইস্কুলের ছাত্র ও। সুদান বংশোদ্ভূত এই কিশোর ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-তে পড়ার স্বপ্ন দেখে।

এই ‘ভূয়া বোমা’র ঘটনায় সারা বিশ্বে সাড়া পড়ে গেছে। প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যম বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ওই সংবাদ করেছে।  

এ ঘটনার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরাও।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আহমেদকে নিয়ে টুইটে বলেন, “চমৎকার ঘড়ি, আহমেদ। ঘড়িটিকে হোয়াইট হাউজে নিয়ে আসতে চাও? আমাদের উচিৎ তোমার মতো আরও অনেক শিশুকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা।

“এটাই আমেরিকাকে বড় করে তোলে।”

মার্ক জাকারবার্গ একটি ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “নতুন কিছু বানানোর মতো মেধা আর ইচ্ছে আছে যার তাকে গ্রেপ্তার নয়, সে বাহবা পাওয়ার যোগ্য।  

“ভবিষ্যত শুধু আহমেদের মতো মানুষদের জন্য।”

আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, “আমার ওপর থেকে পুলিশ অভিযোগ উঠিয়ে নিয়েছে। আমি এমআইটিতে পড়ার চেষ্টা করব। 

“তবে এই স্কুল থেকে হয়ত অন্য স্কুলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করব আমি।”  

নাসা এবং এমআইটি থেকেও আমন্ত্রণ পেয়েছে আহমেদ।    

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com