সম্প্রতি সেদেশের এক আদালতে দাদার কোলে বসে বোতলে দুধ পান করতে করতে তার জামিন হয়।
তবে হত্যা ষড়যন্ত্র, পুলিশকে হুমকি ও রাষ্ট্রের কাজে বাধা দেয়ার এ মামলা থেকে আইনি ক্ষমতার অভাবে বিচারক তাকে পুরো ছেড়ে দিতে পারেননি।
তাই আগামী ১২ এপ্রিল ফের কাঠগড়ায় উঠতে হতে পারে তাকে।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের লাহোরে বিদ্যুতের বিল আদায়ে অভিযানে নামে সেদেশের জ্বালানি বিভাগ। বিদ্যুতের বিল শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে মুসাদের বিরুদ্ধেও।
এ অভিযানের সময় পুলিশ ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দিকে পাথর ছোড়া হয়েছে অভিযোগ এনে মুসাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মুসা তার দুধের বোতলটিও ঠিকমতো হাতে তুলে পান করতে পারে না এ কথা পেড়ে ওর দাদা মোহাম্মদ ইয়াসীন বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন, “এই শিশু কিভাবে পুলিশকে পাথর মারলো?”
তবে শিশুকে গ্রেপ্তার করতে যাওয়া পুলিশ অফিসার বলেন, “মুসা পাথর ছোড়ায় অংশ নিয়েছে।”
তাই পুলিশের এসআই কাশিফ আহমেদ তাকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য এ ঘটনায় এসআই আহমেদকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফ বেজায় খেপেছেন।
যারা এই মামলা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।