ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মেনসা টেস্ট নামের পরীক্ষাটি বুদ্ধিমত্তা মাপার জন্য অন্যতম এক পরীক্ষা। খুব কঠিন বলে এর ‘কুখ্যাতি’ রয়েছে।
মৌখিক যুক্তির সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষাটির প্রাথমিক ফল নির্ধারণ করা হয়। যেখানে যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় এক শতাংশ মেধাবীদের মধ্যে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে অর্ণব।
সে স্কোর করেছে ১৬২। অথচ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে প্রশ্ন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না তার। আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই কয়েক সপ্তাহ আগে পরীক্ষায় বসে ও।
মেনসার পক্ষে একজন মুখপাত্র অর্ণবের কৃতিত্বের প্রসংশা করে বলেন, সে যে নম্বর পেয়েছে, তা খুব কম মানুষই অর্জন করতে পেরেছে।
বেশিরভাগ প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হয়েছে জানিয়ে অর্ণব বলে, ‘আমি স্যালভেশন সেন্টারে পরীক্ষা দিয়েছি। মেনসা টেস্ট বেশ কঠিন। আমি এতে উত্তীর্ণ হওয়ার আশা করিনি। আমার পরীক্ষাটি শেষ করতে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিল।
‘আমার কোনো প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু আমি কোনো স্নায়বিক চাপে ভুগিনি’, বলে ও।
এ নিয়ে অর্ণবের মা মিশা ধামিজা শর্মা বলেন, ‘পরীক্ষার পুরোটা সময় আমি প্রার্থনা করেছি। ভাবছিলাম, কী জানি কী হয়! কারণ, এর
তিনি আরও বলেন, ‘দেড় বছর বয়সে আমি তার দাদা-দাদিকে দেখতে ভারতে নিয়ে গিয়েছিলাম।
তারা বলেছিলেন অর্ণব পড়াশোনার সাথে খুব ভালো কাজ করতে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করিনি, ভেবেছিলাম যে তারা আমাকে খুশি করতে এসব বলছে। কিন্তু তা সঠিক হলো।"
মিশা ধামিজা জানান, আড়াই বছর বয়সেই একশ পর্যন্ত গুণতে পারতো অর্ণব। ছেলের প্রতিভা সম্পর্কে তখনই তারা আঁচ করতে পেরেছিলেন।
মেনসা সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে। এর প্রতিষ্ঠাতা অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী ল্যানসেলট লিওনেল ওয়্যার ও আইনজীবী রোল্যান্ড বেরিল।
মেনসা অনুমোদিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে নির্দিষ্ট জনসংখ্যার শীর্ষ দুই শতাংশ বুদ্ধিমান মানুষকে এর সদস্যপদ দেওয়া হয়। এর লক্ষ্য, বিকাশের জন্য মানুষের বুদ্ধি সনাক্ত এবং বিকশিত করা।