বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
সেখানে তিনি বলেন, “ম্যানচেস্টার আর এ দেশের মানুষ যে একটি নির্মম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অসহায় কিশোর-তরুণরা ছিল এই হামলার লক্ষ্য।”
সোমবার রাতে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে একটি স্টেডিয়ামে মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আরিয়ানা নিজে অক্ষত থাকলেও ওই ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫৯ জন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিয়ানা গ্রান্ডে তার পরিবেশনা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পরপরই তার প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটলে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়।
ব্রিটিশ পুলিশ এ ঘটনাকে আত্মঘাতী হামলা বলেই মনে করছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কিশোর-তরুণদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় গায়িকা আরিয়ানার গান শুনতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ওই ইনডোর স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন ২০ হাজারের বেশি দর্শক।
২৩ বছর বয়সি আরিয়ানা নিজের কনসার্টে এমন ভয়ংকর ঘটনায় চরম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমি খুব খুব দুঃখিত। কিছু বলার ভাষা আমার নেই।”
‘ব্যাং ব্যাং’, ‘লাভ মি হার্ডার’, ‘ব্রেক ফ্রি’র মত সাড়া জাগানো গানের শিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডে তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘ডেঞ্জারাস উইমেন’ এর প্রচারে বিশ্ব সফরের অংশ হিসেবে ম্যানচেস্টারের অ্যারেনায় এসেছিলেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার টেলিগ্রামে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদল ইসলামিক স্টেটের দায় স্বীকারের বার্তা আসে বলে রয়টার্সের খবর।
কমবয়সীদের উপর ভয়াবহ এ হামলায় বিশ্ব নেতাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গভীর শোক ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।