‘এক্সপেডিশান নিউ আর্থ’ নামে বিবিসি একটি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র বানাচ্ছে। যেখানে হকিং এ ধরণের হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন বলে জানা গেছে।
বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে হকিং বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত, খুব দ্রুত। আর আগামী দিনে সেই রদবদলটা হবে আরও দ্রুত হারে। আরও বেশি করে। ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যাবে তাপমাত্রা। বেড়ে যাবে সমুদ্রের জলস্তর। শুরু হয়ে যাবে নানা রকমের মহামারী।’
অসম্ভবভাবে জনসংখ্যার চাপ বেড়ে যাবে জানিয়ে হকিং বলেন, ‘এই ধরণী তখন হয়ে উঠবে আমাদের বধ্যভূমি। এই একশ বছরের মধ্যে অন্য কোনো গ্রহে আমরা আমাদের বসবাসের নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে না পারলে আধুনিক মানুষের ‘হোমো সাপিয়েন্স সাপিয়েন্স’ প্রজাতি একেবারেই মুছে যাবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
এই ধরণের হুঁশিয়ারী আরো দু’বার দিলেও এবার স্পষ্ট করেছেন স্টিফেন হকিং।
জানা যায়, হকিংয়ের সঙ্গে রয়েছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড্যানিয়েল জর্জ। যিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ান। রয়েছেন হকিংয়ের প্রিয় ছাত্র ক্রিস্টোফে গ্যালফার্ডও। কীভাবে অন্য গ্রহে বসবাসের নতুন ঠিকানা খুঁজে নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে তাদের মতামতও থাকছে ওই প্রামাণ্যচিত্রটিতে।