এই কালজয়ী বিজ্ঞানী ১৬ শতকের ইংরেজ পদার্থবিদ, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। এছাড়া মহাকর্ষীয় বলের আবিষ্কারকও তিনি।
কথিত আছে আপেল গাছের নিচে বসে গভীর চিন্তামগ্ন অবস্থায় তার মাথায় একটি আপেল পড়ে। তখন তিনি চিন্তা করেন, আপেলটি কেন নিচে এসে পড়ল, উপরে, বামে কিংবা ডানেও তো যেতে পারত। তখন এ নিয়ে শুরু হয় তার নতুন গবেষণা। যার ফল হিসেবে উদ্ভাবিত এই মহাকর্ষীয়সূত্রের।
শুধু যে বলবিদ্যায় নিজের কাজের চিহ্ন রেখে গেছেন তা নয় তার পদচারণা লক্ষ্য করা যায় আলোক বিজ্ঞানেও। তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন আলোর প্রতিসরণ। এই প্রতিসরণকে কাজে লাগিয়েই তিনি আবিষ্কার করেন একটি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র যা বর্তমানে নিউটনীয় দূরবীক্ষণ যন্ত্র নামে পরিচিত।
গণিতে একটি শাখা আছে যা ক্যালকুলাস নামে পরিচিত। মুলত এই শাখাটি আবিষ্কারের পর থেকেই নতুন ধারার সৃষ্টি হয় গণিতে। এছাড়া দ্বিপদী উপপাদ্যের উদ্ভাবনের জন্যও বিখ্যাত হয়ে আছেন আজও।
লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প ম্যানরেতে ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৪ জানুয়ারি জন্ম নেন নিউটন। বাবা ছিলেন কৃষক। বাবার মৃত্যুর পর মার বিয়ে হয়ে যায়। নানী মার্গারি এইসকফের কাছে লালিত পালিত হন তিনি।
নিউটন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন খুব মেধাবী। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ১২ বছর বয়সে গ্রান্থামের ব্যাকরণ স্কুলে পড়ালেখা করেন। আবিষ্কারক হিসেবেও তার সূচনা স্কুল জীবনেই। স্কুলেই তিনি তৈরি করেছিলেন উইন্ডমিল, সান-ডায়ালসহ অনেক কিছু।
১৬৫৬ সালে তার মা তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কৃষিকাজ শেখানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হন। পরে আবার তাকে কেমব্রিজ ট্রিনিটি কলেজে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকেই ১৬৬১ সালে স্কুল পাশ করেন। তবে ১৬৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভের আগে কলেজে প্লেগ রোগ দেখা দিলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও এই কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই তিনি দ্বিপদী উপপাদ্য বিষয়ক সূত্রের প্রমাণ করেন।
নিউটন ১৭২৭ সালের ২০ মার্চ ৮৫ বছর বয়সে মারা গেলে তাকে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে সমাধিস্থ করা হয়। ১৭০৪ সালে রচিত এক পাণ্ডুলিপিতে লিখে গেছেন, ২০৬০ খ্রিস্টাব্দের আগে পৃথিবী ধ্বংস হবে না।