শীতের সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। ঘর থেকে বেরুলেই চোখে পড়ে রাস্তার পাশে ধোঁয়া উঠা ভাপা পিঠার দোকান। তার পাশেই পিঠা কিনতে আসা মানুষের ভিড়। আবার কোথাও কোথাও আগুন জ্বেলে তাপ পোহাচ্ছে কেউ কেউ। এ এক স্বর্গীয় দৃশ্য। যারা গ্রামে থাকে তারা শীতের উপস্থিতি ও শীত উপভোগ করতে পারে। ঢাকা শহরে শুনেছি শীত তেমন পড়েই না।
শীতের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হচ্ছে কলসে করে যখন গাছিরা খেজুর রস নিয়ে পাড়া ঘুরে আর হাঁক দেয়। শীতের সকালে খেজুর রস আর গুড়ের মিষ্টি গন্ধ সবার মন কাড়ে।
শীতের সকালে কেউ ঘুম থেকে উঠতে চায় না। আর সবার মতোই সূর্য্য মামাও উঠি উঠি করে উঠতে চায় না।
সকাল সকাল কৃষকেরা ক্ষেতে গিয়ে সবজি তুলে হাটে নিয়ে যায় বেচতে। শীতের সব সবজি ঝাঁকায় করে বাজারে যাচ্ছে কৃষক এ দৃশ্যও অসাধারণ। যারা দেখেনি তারা কখনও বুঝবে না।
শীতকালে গাছের পাতাগুলো ধীরে ধীরে হলুদ রং ধারণ করে। এরপর তো ঝরে যায়। চারপাশে চোখে পড়ে শুকনো পাতার মেলা। গাছের নিচ দিয়ে হেঁটে গেলে শুকনো পাতা মর্মর করে ভেঙে পড়ে পায়ের তলে। এক একটা গাছ দাঁড়িয়ে থাকে কঙ্কালের মতো।
তবে অতিরিক্ত কুয়াশায় দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কুয়াশার কারণে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। কুয়াশার কারণে মাঝে মাঝে ফ্লাইট, ফেরি, লঞ্চ এমনকি বাস চলাচলও বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এরা দিনে দুই বেলা পেট পুরে খেতেও পায় না। শীতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে না তারা। শীতে গরম কাপড় না থাকায় তারা কষ্ট পায়। ছেঁড়া জামা কাপড় পরেই প্রচণ্ড শীতের মাঝে টিকে থাকার লড়াই করে।