রোগ প্রতিরোধে মাতৃদুগ্ধ

প্রতি বছর অগস্টের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ পান সপ্তাহ পালন করা হয়। বিশ্বের ১৭০টি দেশে গুরুত্বের সঙ্গে দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।

পহেলা অগস্ট শনিবার মাতৃদুগ্ধ পান সপ্তাহ ২০১৫ শুরু হয়েছে। শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মায়েদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য উৎসাহ দিতেই দিবসটি পালন করা হয়।

শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাসে যে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন, তা সবই আছে মাতৃদুগ্ধে। এগুলোর পাশাপাশি শিশুকে রোগ বালাইয়ের হাত থেকে বাঁচাতেও মাতৃদুগ্ধের তুলনা নেই।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন এর তথ্য মতে, মাতৃদুগ্ধ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে রয়েছে কানের সংক্রামক রোগ, মেনেনজাইটিস, পাকস্থলিতে  ভাইরাসের আক্রমণ ইত্যাদি। শৈশবে ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমায় মাতৃদুগ্ধ। মাতৃদুগ্ধ পান করালে শিশুর হজমশক্তিও বাড়ে।

মজার ব্যাপার হলো মাতৃদুগ্ধ সবসময় পরিষ্কার ও সঠিক তাপমাত্রায় থাকে। শিশুদের পর্যাপ্ত বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজন রয়েছে।

'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভাইরনমেন্টাল হেলথ সায়েন্স' এর একটি দীর্ঘ গবেষণায় জানা যায়, যে শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পান করে না তাদের ২৮ দিন থেকে ১ বছর বয়সে মারা যাওয়ার ঝুঁকি যে শিশুরা দুধ পান করে তাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের সর্বশেষ ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুর জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৬৪ শতাংশ।

শিশুদের জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব প্রচার এবং জন্ম থেকে অন্তত দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানো নিশ্চিত করে একে একটি সামাজিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে সারা বিশ্বে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন (ওয়াবা)। এর সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com