তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনও ডাক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কীভাবে এই ডাকের প্রচলন হল।
বর্তমান বাগদাদ এবং প্রাচীন ব্যাবিলনের রাজা সরগল প্রথম ডাক চলাচল শুরু করেন। ইতিহাস বলে খ্রি.পূর্ব ১৫০০ সালে মিসরে ডাক চলাচল চালু ছিল।
তবে সারাবিশ্বে এখন যে ডাক ব্যবস্থা চালু আছে এর উদ্ভাবক বিট্রিশরা।
১২০৬ থেকে ১২১০ পর্যন্ত দিল্লির সুলতান কুতুবউদ্দীন আইবেক দিল্লি থেকে বাংলাদেশে ডাক পাঠান। তত্কালীন ডাক ব্যবস্থা ছিল ঘোড়ার ডাক। ১২৯৬ সালে তিনি পথচারী মানুষ ও ঘোড়ার সাহায্যে ডাক চালু করেন।
সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি সর্বপ্রথম ডাকচৌকি স্থাপন করেন। এছাড়া মোহাম্মদ বিন তুঘলক, শের শাহ তাদের শাসন আমলে ডাকের তুমুল পরিবর্তন ঘটান।
১৮৭৪ সালে সুইজারল্যান্ডের বার্নে প্রথম আন্তজার্তিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে ২২টি দেশের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেন এবং প্রতিষ্ঠিত লাভ করে বিশ্ব ডাক ইয়নিয়ন। জাপানের টোকিওতে ১৯৬৯ সালে ১৬তম অনুষ্ঠানে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবস নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে জার্মানিতে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবসের নাম 'বিশ্ব ডাক দিবস' করা হয়।
বাংলাদেশে ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ২০ জুলাই ১৯৭১ সালে।