চিত্রের জাদুকর জয়নুল

বাংলাদেশের অন্যতম চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন। দেশের চিত্রকলায় তার অবদান অপরিসীম।

দেশবরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার।

১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলায় তিনি জন্ম নেন। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে তিনি মারা যান।
তিনি ছবি আঁকা ও দেশে চারুকলা শিক্ষা চালুর ক্ষেত্রে অবদান রেখে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন এক অনন্য পর্যায়ে।

ছবি আঁকার প্রতি জয়নুল আবেদীনের ঝোঁকটা ছোট থেকেই। অন্যদের মত নিয়মমাফিক পড়ালেখা পছন্দ ছিলনা তার। তার শৈশব কেটেছে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ঘুরে ঘুরে। প্রকৃতির সৌন্দর্য তাকে অনুপ্রেরণা দিত ছবি আঁকার।

ছবি আঁকার প্রবল আগ্রহের কারণে ১৯৩৩ সালে তিনি পাড়ি জমান কলকাতায়। সেখানে তিনি ভর্তি হন গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসে।

তিনি মনের কথা প্রকাশ করতেন ছবির মাধ্যমে। তার আঁকা ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে বাংলার চিত্র। তার আঁকা প্রতিটি ছবি থেকে সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।

১১৭৬ বঙ্গাব্দে বাংলায় একটি দুর্ভিক্ষ হয়, যাকে বলা হয় 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর'। এই দুর্ভিক্ষ নিয়েও আছে তার অনেকগুলো চিত্রকর্ম। তার 'দুর্ভিক্ষ' চিত্রকর্মের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন।  

গ্রাম বাংলার উৎসব নিয়ে আঁকা বিখ্যাত ছবি 'নবান্ন' তারই আঁকা। শুধু পেন্সিল আর রংতুলি হাতেই নয়, অবদান রেখেছেন চিত্রকলা শেখার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও।

তিনি ১৯৪৮ সালে কয়েকজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীদের নিয়ে গড়ে তোলেন চারুকলা ইনস্টিটিউট। তখন সমাজের তেমন কেউ ছবি আঁকা পছন্দ করতো না। ভাবতো এই আঁকিবুঁকি করে কী লাভ? এমন অনেক বাধা বিপত্তি আসে তাদের সামনে। তবুও তিনি হাল ছাড়েন নি। তিনি এই ইনস্টিটিউটের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন।

১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহ জেলায় তিনি জয়নুল সংগ্রহশালা গড়ে তোলেন। এখানে রয়েছে তার অপরূপ চিত্রকর্মগুলো। নারায়নগঞ্জে তিনি একটি লোকশিল্প জাদুঘর গড়ে তুলেছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com