কারণ পৃথিবীতে ভূত বলে কিছু নেই। তবুও অনেক অভিভাবক তার বাচ্চাকে ভূতের ভয় দেখান, ভূতের গল্পের বই পড়তে দেন।
ভালো বই না দিয়ে বাচ্চাদের যখন এসব বিষয়ের বই হাতে তুলে দেওয়া হবে তখন বাচ্চারা নানা রকম অহেতুক চিন্তা বা বিষয়ে ভাববে। ফলে তাদের মনে নানা কুসংস্কারও খুব সহজে ঢুকে যায়।
বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু আর নেই। তবে এজন্য শিশুরদের হাতে ভালো বই তুলে দিতে হবে। শিশুরা রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে চেনার আগে ভূতের বই পড়ছে। বিভিন্ন প্রকাশনীগুলো এই সুযোগ নিয়ে প্রকাশ করছে নানা চটকদার ভূতের বই। এতে প্রজন্ম যে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে তা তারা খেয়াল করছে না।
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র প্রমিতের সাথে কথা বলে জানা গেল সে ভূতের বই পড়তে খুব ভালোবাসে। তবে একা থাকলে ভয় পায় বলেও জানায় সে। তার ধারণা অন্ধকারে একা থাকলে পেছন থেকে ভূত এসে ঘাড় মটকে দেবে।
ওর কাছ থেকে আমি অনেক রকম ভূতের নাম শুনি। যেমন, মামদো ভূত, মাথাকাটা ভূত ও শাকচুন্নী। এগুলোর গল্প সে বইয়ে পড়েছে। কিন্তু সে রবীন্দ্রনাথের কোনো গল্প পড়েনি বলে জানালো।
এক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বাজারে বাচ্চাদের বই বলতে ভূতের বইই বেশি পাওয়া যায়। এজন্য এসবই কিনে দেন তিনি।
আমি শুধু ভাবি যারা এক সময় দেশের হাল ধরবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাদেরকে যদি এখন থেকেই গঠনমূলক চিন্তা করতে উৎসাহিত না করা হয় তাহলে কী করা হবে।